পানাজি: নতুন বছরে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স উজ্জ্বল হবে কীনা, সেটা সময় বলবে। তবে বছরের প্রথমদিনেই দলের আক্রমণভাগকে উজ্জ্বল করতে লাল-হলুদে সইপর্ব সেরে ফেললেন ব্রাইট এনোবাখারে। নাইজিরিয়ার বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে খেলা মাত্র ২২ বছরের এই ফরোয়ার্ড হতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন দশ নম্বর। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে উলভসের প্রাক্তন এই ফুটবলারকে সই করানোর কথা জানানো হয় ক্লাবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।

আইএসএলের শুরু থেকে আপাত নিরীহ ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগ ব্রাইটের অন্তুর্ভুক্তিতে নতুনভাবে ধরা দেওয়ার অপেক্ষায়। গ্রীসের একেবারে প্রথমসারির ক্লাব এইকে এথেন্স থেকে দলবদল করে কলকাতা জায়ান্টদের হয়ে সই সারলেন নাইজিরিয়ার অনুর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দলে খেলা এই ফুটবলার। নয়া ইয়ংস্টারকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত এবং একইসঙ্গে আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল কোচ রবি ফাওলার। ব্রাইটের অন্তর্ভুক্তি প্রসঙ্গে লিভারপুল লেজেন্ড জানিয়েছেন, ‘আমি ব্রাইটকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। ওর সাথে আমার বেশ কিছু কথা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ওকে আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। ও সেগুলো মুক্তমনে গ্রহণ করেছে।’

ইস্টবেঙ্গল পরিবারে যোগ দিয়ে খুশি ব্রাইটও। উলভসের প্রাক্তনী জানিয়েছেন, ‘ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে পেরে আনন্দিত। ভারতের সবচেয়ে বড় ক্লাবের থেকে নয়া চ্যালেঞ্জের প্রস্তাব পেয়ে না করিনি। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান সুপার লিগেরও দ্রতগতিতে উত্থান হচ্ছে। আমার বিশ্বাস আমি পুরোপুরি আস্থার মর্যাদা রাখতে পারব।’ নয়া বিদেশির আরও সংযোজন, ‘লিগ ইতিমধ্যেই প্রায় মাঝপথে। তাই আমাকে দ্রুত স্কোয়াডের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমি নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য ভীষণভাবে মুখিয়ে রয়েছি।’

উল্লেখ্য, উলভস অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা ব্রাইট উলভসের চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাবজয়ী স্কোয়াডেরও সদস্য ছিলেন। ২০১৭-১৮ মরশুমে চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে প্রিমিয়র লিগে উত্থান হয় উলভসের। উলভারহ্যাম্পটনের এই ক্লাবের হয়ে ৪৯ ম্যাচে তিন গোল রয়েছে ব্রাইটের। পরবর্তীতে কভেন্ট্রি সিটির জার্সিতে প্রচারে আসেন ব্রাইট। ক্লাবের সেরা কনিষ্ঠ ফুটবলারের খেতাব জিতে নজর কাড়েন বছর বাইশের এই ফুটবলার। উলভস থেকে লোনে ২০১৯ ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা ক্লাবটির হয়ে ১৮ ম্যাচে ৬ গোল করেছিলেন লাল-হলুদ পরিবারের নতুন সদস্য।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি গোয়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্রাইট। কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে গত বুধবার থেকে দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করেছেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।