স্টাফ রিপোর্টার, কাঁথি: গরু ও কয়লাপাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট নেতা বিনয় মিশ্রের। তাঁর মোট তিনটি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই প্রসঙ্গে টেনে অভিষেককে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার সভায় ফের ‘তোলাবাজ ভাইপো’কে আক্রমণ করলেন তিনি।
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘কাল বিনয় মিশ্রর বাড়িতে সিবিআই ঢোকার পর থেকে তোলাবাজ ভাইপোদের দরজা বন্ধ, মুখও বন্ধ। প্রথমে লালা আর এনামুল। গরু আর কয়লা। একটা ধাপ, তার পর বিনয় মিশ্র তিনি আবার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা। আর একটা চৌকাঠ পেরোলেই তোলাবাজ ভাইপো। একদম কাছাকাছি এসে গিয়েছে।’
এদিন কাঁথির সভা থেকে বিজেপি–তে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু। কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ করে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘আগে নিজের বাড়িতে পদ্মফুল ফুটিয়ে দেখান।’ তার জবাবেই এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘রামনবমী অভি বাকি হ্যায়। সবে তো কুড়ি এসেছে পদ্মে। ভোট তো দেরি আছে। ভোটের আগে রামনবমী করব আমরা। নির্বাচন বিধি চালু হলেই খেলা দেখবেন।’ এদিন সৌমেন্দু ছাড়াও বিজেপিতে যোগ দেন কাঁথির আরও ১৪ জন বিদায়ী ও ৪ জন প্রাক্তন কাউন্সিলর। শুভেন্দু আক্রমনাত্মক সুরে বলেন, ‘হরিশ চ্যাটার্জি রোড রাজ্য চালাবে আর আমরা কর্মচারী?’ তিনি যোগ করেন, ‘ধর্মযুদ্ধে নেমেছি, এই যুদ্ধে জিততে হবে। নরেন্দ্র মোদির আদর্শে সোনার বাংলা তৈরি হবে।’
উল্লেখ্য, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রের রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এবং কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন তিনটি বাড়ি ও অফিসে সিআরপিকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। এরপরই খবর মেলে যে বিনয় মিশ্র পলাতক এবং তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। এই প্রথম গোরুপাচার কেলেঙ্কারিতে কোনও তৃণমূল নেতা সরাসরি সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় এসেছেন। সিবিআই ছাড়া এই ব্যাপ্যারে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং আয়কর বিভাগ।
এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বিনয় মিশ্রের বাড়িতে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন, ‘বিনয় মিশ্র খুব পপুলার লোক। আর কেন পপুলার সেটা সবাই জানেন। সেই জন্যই সিবিআই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করছে।’
বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, ‘এটা তো হওয়ারই ছিল। উনি অভিষেকের রাইট হ্যান্ড। এই যে কয়লা, বালি, লোহা সব কিছুর টাকা অভিষেকের কাছে উনি পৌঁছে দিতেন। এমনকী ওসি সহ ছোটোখাটো পুলিশ আধিকারিকদের বদলি ওনার হাত দিয়েই হত। ওঁর নামটা বিনয়, কিন্তু একজন উদ্ধত সমাজবিরোধী।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.