কলকাতা: বর্ষবরণের রাতে আইন ভাঙার অভিযোগে ১৫০০ এর বেশি মানুষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷ এমনটাই জানিয়েছে লালবাজার৷

লালবাজার সূত্রে খবর, বর্ষবরণের রাতে আইন ভাঙার অভিযোগে ৯৩৯ জন গ্রেফতার৷ এদের মধ্যে বেশিরভাগকেই অভব্য আচরণের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এবং মাস্ক না পরার জন্য ৫৫০ জন,থুতু ফেলার দায়ে আরও ৩১ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷

তবে ৩১ ডিসেম্বর রাত ন’টা পর্যন্ত মোট ৫১৯ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ৷ তাদের মধ্যে অভব্য আচরণের জন্য ৩২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ মাস্ক না পরার জন্য ১৭৬ জন, থুতু ফেলার দায়ে ১৮ জনকে ধরা হয়েছে। এছাড়া শব্দবাজি ও মদ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ৷

মাস দুয়েক আগে রাতের শহরে উশৃঙ্খল আচরণ এবং ট্র্যাফিকের বিধিভঙ্গের দায়ে কলকাতা পুলিশ মোট ৩,১১৫ জনকে আটক করেছিল৷ তাদের মধ্যে বিশৃঙ্খল আচরণের দায়ে ১,০৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷

কলকাতা পুলিশ জানিয়েছিল, রাতের শহরে উশৃঙ্খল আচরণ এবং ট্র্যাফিকের বিধিভঙ্গের প্রতিরোধে সারা শহর জুড়ে চলে বিশেষ ‘ব্লক রেইড’৷ অর্থাৎ কলকাতা পুলিশের নৈশ-অভিযান৷ পদস্থ আধিকারিকদের সক্রিয় উপস্থিতিতে মোড়ে মোড়ে চলে তল্লাশি৷ এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন সমস্ত ডিভিশন, ট্র্যাফিক বিভাগ এবং গোয়েন্দা বিভাগ৷

এবং অন্যান্য দিনের মত পরের দিনও সারা শহরে কলকাতা পুলিশের অভিযান চলে৷ তাতে ৬৩৬ জনের জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷

লালবাজার সূত্রে খবর, মহামারি আইন অমান্য করায় কলকাতা পুলিশ দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৬৩৬ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছিল৷ তাদের মধ্যে আইন অমান্য করায় ৬৫ জন গ্রেফতার হয়৷ বিনা মাস্কে বের হওয়ার জন্য ৫৬৩ জন ও যত্রতত্র থুতু ফেলার জন্য ৮ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল৷

তার আগে সেপ্টেম্বর মাসে রাতের শহরে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩,০০০ এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ৷ এদের মধ্যে বিশৃঙ্খল আচরণের দায়ে মোট ৮৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷

লালবাজার জানিয়েছিল, বিনা হেলমেটে বাইক চালানোর জন্য ১০৭০ জন এবং বেপরোয়াভাবে ও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর মতো ট্রাফিক আইন ভাঙার দায়ে যথাক্রমে ৭০৮ এবং ১৫৪ জনকে আটক করেছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট। বিশৃঙ্খল আচরণের দায়ে মোট ৮৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ মোট ২,৯৯২ জনকে বিভিন্ন আইন ভঙ্গের দায়ে আটক করা হয়।

প্রসঙ্গত,রাতের শহরে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ এবং ট্র্যাফিকের বিধিভঙ্গের প্রতিরোধে সারা শহর জুড়ে চলে কলকাতা পুলিশের বিশেষ ‘ব্লক রেইড’, অর্থাৎ কলকাতা পুলিশের নৈশ-অভিযান৷ মোড়ে মোড়ে তল্লাশি এবং নজরদারিতে হাজির থাকেন পদস্থ আধিকারিকরা৷ বর্ষবরণের রাতেও শহর জুড়ে ছিল কলকাতা পুলিশের নৈশ-অভিযান৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।