কলকাতা: পাখির চোখ একুশের ভোট। সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৪-৮ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে থাকবেন তিনি। চার দিনের এই সফরে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় কর্মীসভা করবেন অভিষেক। বিধানসভা ভোটের আগে সাংগঠনিকভাবে আরও কতটা শক্তি বাড়ানো যায় সেব্যাপারে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন অভিষেক।
উত্তরবঙ্গে ক্রমেই শক্তি বাড়ছে বিজেপির। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের একাধিক তৃণমূল নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে জয় পেয়েছেন গেরুয়া দলের প্রার্থীরা।
উল্টে সংগঠন ভেঙেছে তৃণমূলের। উত্তরবঙ্গের চা বাগান লাগোয়া এলাকাগুলিতে তৃণমূলের সংগঠনগুলিও হাত-বদল হয়েছে। উত্তরে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। একথা ভালোই বুঝেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
সেই কারণেই এবার অভিষেকের উত্তরবঙ্গ সফর। জানা গিয়েছে, আগামী ৪-৮ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। এই চার দিনের সফরে একাধিক কর্মিসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
একটি প্রকাশ্য জনসভা করারও কথা রয়েছে তৃণমূলের ‘যুবরাজ’-এর। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই তৃণমূলের খারাপ ফল হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ৫৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট কমেছে ঘাসফুল-শিবিরের।
একদিকে, ভোটব্যাঙ্কে ধ্বস নামা ও অন্যদিকে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হওয়া, দু’য়ের জাঁতাকলে বিধানসভা ভোটের আগে বেকায়দায় তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এর আগেই উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও গৌতম দেব দলের কোন্দল মেটাতে তৎপরতা নিয়েছেন।
তবে ফল আশানুরূপ হয়নি। উল্টে দিন যত এগিয়েছে দলে কোন্দলও ততই বেড়েছে। কোচবিহারে দলের অন্তর্কলহ যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের কাছে। দল ছেড়েছেন কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী।
বেসুরো গাইছেন কোচবিহারের আর এক তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহও। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি কমছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সাংগঠনিক সেই ফাঁকফোকর মেরামতের কাজেই এবার নজর দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.