করোনায় সক্রিয়ের সংখ্যা কমে উত্তর ২৪ পরগনায় দু’হাজারের নিচে, কলকাতায় ২৬০০
করোনায় বাংলার দুই জেলা কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা নিয়েই যত চিন্তা ছিল। ধীরে ধীরে এই দুই জেলাতেও করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হয়েছে। করোনা সক্রিয়ের সংখ্যায় রাশ টানা গিয়েছে, কমেণে মৃতের সংখ্যাও। শুক্রবারের করোনা বুলেটিনে করোনা সক্রিয়ের সংখ্যা উত্তর ২৪ পরগনায় কমে দাঁড়িয়েছে দু-হাজারের নিচে। কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ কমে ২৬০০।


কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা
শুক্রবার বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৫৩। কলকাতায় এদিন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২৮০। উত্তর ২৪ পরগনায় ২২৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা গ্রাফ একটু কমছে। করোনায় শুধু কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৯৫৬ জন। আর উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ২৩৪১।
একনজরে কলকাতার করোনা পরিসংখ্যান
এদিন পর্যন্ত কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্ত ১২৩৬০৫। শুধু এদিনই কলকাতায় ২৮০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ২৯৫৬ জনের। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ১১৭৯৫৯ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ২৬৯০ জন। এদিন কলকাতায় করোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৩৫১ জন।
উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা পরিসংখ্যান
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১১৬৯৬০ জন। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ২২৯ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ২৩৪১ জনের। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ১১২৬২৯ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ১৯৯০ জন। এদিন করোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ২৬৯ জন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়া-হুগলি
দক্ষিণ ২৪ পরগনা আক্রান্তের নিরিখে এখন তিন নম্বরে উঠে এসেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬০ জন বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৩৬০৬৯। হাওড়ায় মোট আক্রান্ত এখন পর্যন্ত ৩৪৬৮০ জন। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ জন। হুগলিতে ৭৯ জন বেড়ে আক্রান্ত ২৮৫৬৯ জন।
অন্যান্য জেলায় করোনা পরিসংখ্যান
এছাড়া আলিপুরদুয়ারে ৭৬৪৩, কোচবিহারে ১১৬৭৮, দার্জিলিংয়ে ১৭৮৭০, কালিম্পংয়ে ২১৭০, জলপাইগুড়িতে ১৪৩৯১, উত্তর দিনাজপুরে ৬৪৬৫, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৮০৮৬, মালদহে ১২৪৮৭, মুর্শিদাবাদে ১১৯৪৭, নদিয়ায় ২১৭৫২, বীরভূমে ৯৬২৬, পুরুলিয়ায় ৬৯৬৫, বাঁকুড়ায় ১১৪০৮, ঝাড়গ্রামে ২৯৭২, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৯৮৫৯, পূর্ব মেদিনীপুরে ২০১৩১, পূর্ব বর্ধমানে ১২২৮৮, পশ্চিম বর্ধমানে ১৫৫২৯ জন মোট আক্রান্ত হয়েছেন। মোট ৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দা।