স্টাফ রিপোর্টার, কাঁথি: ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের মঞ্চ থেকেই ফের একবার তাঁর সদ্য ছেড়ে আসা পুরনো দল তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন দাদা শুভেন্দু। তিনি বললেন, তৃণমূল নেত্রী বলেছেন দল প্রতিষ্ঠার পর কাঁথিতে ভোটে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। তৃণমূল নেত্রী শুনে রাখুন, এবারও আপনি দ্বিতীয় হবেন। অধিকারী পরিবার ছিল বলে এতদিন প্রথম হয়েছেন।’

শুক্রবার কাঁথির ডরমেটরি ময়দানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘অধিকারী পরিবারকে ছোট করতে নীচুস্তরের লোকজনকে গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘নীচুস্তরের লোকজনকে গুরুত্ব দিয়ে জিততে পারবেন না তৃণমূল নেত্রী।’ তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে জেলায় নকল ভোটিং মেশিন দেখানোর লোক পাবে না তৃণমূল।

কাঁথি-সহ রাজ্যের পুরসভা ও পুরনিগমগুলিতে নির্বাচন না হওয়ায় কাঠগড়ায় তোলেন রাজ্য সরকারকে। তিনি বলেন, ‘এই সরকার ভোটকে ভয় পায়। সবাইকে ঝুলিয়ে রেখেছে। আর ভোট করলেই পঞ্চায়েতের মতো অবস্থা হবে। ভোট লুঠ করবে আর পরের ভোটে হারবে। তাই পুরসভা, করপোরেশনের ভোট করার ক্ষমতা নেই’।

তৃণমূলকে উৎশৃঙ্খলের দল বলে দাবি করে শুভেন্দু বলেন, ‘২৩ তারিখে এখানে একটা মিছিল হয়েছে, কাদের মিছিল? উৎশৃঙ্খল কিছু লোক। বিজেপির পতাকা ছিঁড়েছে, আমার ছবি কোথাও ছিঁড়েছে, কোথাও কালি লাগিয়েছে। এর উত্তর দেওয়ার মতো আমাদের লোক আছে। কিন্তু আমি বলেছিলাম, না করতে দেও। এদের স্বরূপটা লোকে দেখুক’।

উল্লেখ্য, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেন গত ১৯ ডিসেম্বর। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন তাঁর কাঁথি পুরসভার অপসৃত প্রশাসক সৌম্যেন্দু অধিকারী। স্বাভাবিকভাবে পরিবারের অন্যদের নিয়েও সময়োপযোগী জল্পনা চলছেই। গত বুধবার শিশিরবাবুর সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করেছেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো।

এদিন সৌম্যেন্দুর বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে অধিকারী পরিবারের কর্তা, কাঁথির সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব পাবে। জবাব দেবেন মেদিনীপুরের মানুষ। আমি যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম, অবিভক্ত মেদিনীপুরে একটাও নির্বাচিত পদ ছিল না। আমি যোগ দেওয়ার পর দলে দলে সকলে যোগ দিল। আর আমি এখন হলাম মিরজাফর! আমি হলাম বেইমান! বাহ্!’’তাঁর এই ক্ষোভ প্রকাশ নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।ঘটনাচক্রে, শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম তাঁকে ‘মিরজাফর’ বলতে শুরু করেছিলেন। শুভেন্দু যোগ দেওয়ার পর তাঁকে একাধিক বার বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘অধিকারি পরিবারটাই মিরজাফর!’’ এদিন তারই জবাব দিলেন শিশির অধিকারী৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।