রুপোর মুকুট পড়ে 'ঠেঙিয়ে পগারপারে'র নিদান, একুশের আগে ফের হিট অনুব্রত-ডায়লগ
এর আগে তাঁর মুখ থেকে বেরিয়েছিল 'গুড় বাতাসা', 'নকুলদানা' দেওয়ার নিদান। 'উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে', 'চড়াম চড়াম ঢাক বাজানো'র মতো চোখা চোখা ডায়লগও দিয়েছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। এবার তৃণমূলের ২৩-এ পা দেওয়ার দিনেই রুপোর মুকুট পড়ে অনুব্রত 'ঠেঙিয়ে পগারপার' করার হুঙ্কার ছাড়লেন।

একুশে ভোটের বাজারে 'ঠেঙিয়ে পগারপারে'র নিদান
শুক্রবার বীরভূমের নানুরে মিলনমেলার উদ্বোধনে গিয়ে ফের পুরনো ফর্মে ভাষণ দেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মিলনমেলা উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে এবার তিনি হুঙ্কার ছাড়লেন 'ঠেঙিয়ে পগারপার' করে দেওয়ার। এটা তাঁর ডায়লগের তালিকায় নয়া সংযোজন। একুশে ভোটের বাজারে যা হিট করতে পারে আবারও।

একুশের আগে ফের পুরনো ফর্মে ফেরার বার্তা
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, গ্রামের দিকে একটা ভাষা আছে- 'ঠেঙিয়ে পগারপার' করে দাও। আমি আপনাদের বলছি, ওদের ঠেঙিয়ে পগারপার করে দিন। তবে তিনি বিজেপির নাম উচ্চারণ করেননি। তবে তাঁর হুঙ্কারের নিশানা যে বিজেপি, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একুশের আগে ফের পুরনো ফর্মে ফেরার বার্তা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।

অনেক হনু এ গাছ থেকে অন্য গাছে লাফ দিচ্ছে
তিনি এদিনের মঞ্চ থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যান্য দলত্যাগীদের নিশানা করেন। তাঁর কটাক্ষ, নির্বাচন আসছে। অনেক হনু এ গাছ থেকে অন্য গাছে লাফ দিচ্ছে। কিন্তু কোনও লাভ হবে না। বাংলায় জয় হবে দিদিরই। কারণ বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে আছে। কোন নেতা এল-গেল, তাতে কিছু যায় আসে না।

রুপোর মুকুট উপহার অনুব্রত মণ্ডলকে
এদিন মেলা কমিটির তরফে একটি রুপোর মুকুট উপহার দেওয়া হয় বীরভূম জেলা তৃণমূলের কাণ্ডারি অনুব্রত মণ্ডলকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেলা কমিটির তরফে তাঁর মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয় ওই মুকুট। পঞ্চায়েতের কর্মাধ্যক্ষ করিম খান জেলা সভাপতিকে ওই মুকুট পরিয়ে বরণ করে নেন। রুপোর ওই মুকুটের ওজন ছিল প্রায় ২ কেজি।