শিশিরের নেত্রী মমতা, সম্পদ শুভেন্দু! মুখে বলছেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবেন মানুষ
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। এবার গেলেন সৌম্যেন্দু অধিকারী। রইল বকি শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁরা দু'জনেই সাংসদ। শিশিরবাবু আবার জেলা তৃণমূলের সভাপতি। এবার কি তবে তাঁরাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পথে পা বাড়াবেন? তা নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন, স্পুষ্ট করে দিলেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবেন মানুষ।

শিশির অধিকারীর কণ্ঠে শোনা গেল শ্লেষ
২০২১-এর প্রথম দিনেই তৃণমূল ছেড়ে ছোট ছেলে সৌম্যেন্দু অধিকারীর পদ্ম শিবিরে যোগদানের দিনে কাঁথির সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর কণ্ঠে শোনা গেল শ্লেষের সুর। তিনি বলেন, আমার বাড়ির সামনে মাইক লাগিয়ে গালাগাল করে গিয়েছে। এর জবাব তো পাবেই। মেদিনীপুরের মানুষ জবাব দেবেন।

অধিকারী পরিবারকেই বলছে মীরজাফর!
শিশির অধিকারী বলেন, যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেম অবিভক্ত মেদিনীপুরে একটা নির্বাচিত পদও ছিল না। আমি দলে যোগ দেওয়ার পরই অবিভক্ত দলে দলে সকলে যোগ দিয়েছিল। এই অধিকারী পরিবারকেই বলছে মীরজাফর। এখনও আমার পরিবারটাকে ভালোবাসে মানুষ। প্রতিদিন ২০০০ ফোন আসে, ৫০০ জন আমার বাড়িতে আসে দেখা করতে।

পরিবার নিয়ে গর্বিত শিশির দিলেন বার্তা
শিশির অধিকারী এদিন বলেন, বয়স তো ৮১ হল। বাড়ি থেকে বেরোচ্ছি না করোনার আবহে। ছেলেরা বারণ করেছে। ভ্যাকসিন নেওয়া হলেই দিল্লি যাবেন। তার আগে পর্যন্ত বাড়িতেই থাকবে বলে তিনি জানান। এদিন তিনি বলেন, আমাদের পরিবার চক্রবর্তী ব্রাহ্মণ ছিল। চৈতন্য মহাপ্রভু আসার পর অধিকারী হয়েছি। আমাদের বাড়িতে রাধামাধবের পুজো হয়।

আমি কিন্তু এথনও নেত্রীর সঙ্গে, বার্তা শিশিরের
এখনও তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি। সে প্রসঙ্গে শিশিরের গলায় শোনা গেল শ্লেষ, জেলা সভাপতি কি না এখনও জানি না। কিছুই জানি না না। আগেকার পার্টিতে (কংগ্রেসে) বুড়ো লোকেরা থাকতে পারত, এখনকার পার্টিতে ৮০ বছরের বেশি লোককে তো রাখে না! আমি কিন্তু এথনও নেত্রীর সঙ্গে আছি। আমার পরিবারকে কুৎসিতভাবে আক্রমণের পরও।

মমতার সবথেকে বড় সমর্থক ছিল সৌম্যেন্দু
শুভেন্দু অনেক কষ্টে-অভিমানে দল ছেড়েছে। তবে ওর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমি কিছু জানতাম না। আর এখন সৌম্যেন্দুকে যেভা্বে সরানো হল, তা গণতান্ত্রিক রীতি মেনে হয়নি। অথচ ও-ই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে বড় সমর্থক। আর নন্দীগ্রাম মানুষের আন্দোলন, সেখানে অধিকারী পরিবারের একটা গুরুত্ব ছিল।

শুভেন্দু আমার পরিবারের বড় সম্পদ!
শিশির অধিকারী বলেন, তৃণমূল আমাকে দিয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বলাতে চেয়েছিল। সেটা কি কখনও সম্ভব? আমি ছেলের বিরুদ্ধে যাব? শুভেন্দু আমার পরিবারের বড় সম্পদ! আমার পরিবারের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতারা যা বলেছেন তা ঠিক নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও আমার নেত্রী। আমি তাঁর বিরুদ্ধে কোথাও একটি কথাও বলিনি। তবে আমার পরিবারের অপমানের জবাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে দেবেন মেদিনীপুরের মানুষ।
'জেনারেশন’ তৈরি করতে গিয়েই শেষ মমতা! একুশের নির্বাচনেই ভবিষ্যৎ অন্ধকার