ম্যানঞ্চেস্টার: নতুন বছরের শুরুটা ভালো হল না এডিনসন কাভানির৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করার জন্য ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের এই ফুটবলারকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। একই সঙ্গে এক লক্ষ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারকে।

এফএ এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার ৩৩ বছর বয়সি এই ফুটবলারের শাস্তির কথা জানায়। নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার পাশাপাশি শিক্ষামূলক কার্যক্রমেও অংশ নিতে হবে তাঁকে। জরিমানার অর্থ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যয় করা হবে।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকারের ইনস্টাগ্রাম পেজে যে মন্তব্য পোস্ট করা হয়েছে তা অপমানজনক, অবমাননাকর এবং ফুটবলের পক্ষে সম্মানহানিকর। কারণ তাতে বর্ণ, জাতি ও গোষ্ঠী নিয়ে কিছু বোঝানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিরপেক্ষ কমিশন নিযুক্ত হয়েছিল। তারপরই তার শাস্তি ঘোষণা করা হয়৷ ’

গত ২৯ নভেম্বর প্রিমিয়র লিগে সাউদ্যাম্পটন বিরুদ্ধে ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেন কাভানি। দলের ৩-২ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোল-সহ দু’টি গোল করেছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে এক বন্ধুর কাছ থেকে অভিনন্দন বার্তা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জবাবে তিনি বর্ণবাদী মন্তব্য করে বসেন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে ওই পোস্ট মুছে ফেলেন কাভানি, ক্ষমাও চান।

ক্ষমা চেয়েও শাস্তি এড়াতে পারলেন না এই তারকা ফুটবলার। তবে শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন বছরের প্রথম দিন লিগে অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে ম্যান ইউ-র জার্সে মাঠে নামতে পারবেন না কাভানি৷ এছাড়াও ৬ জানুয়ারি লিগ কাপের সেমি-ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি এবং ৯ জানুয়ারি এফএ কাপে ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না এই তারকা ফুটবলার৷

ম্যাঞ্চেস্টারের পক্ষে অবশ্য বলা হয়েছে যে, ওই পোস্টে কোনও বর্ণবৈষম্য মূলক করা হয়নি৷ কাভানির পোস্টকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷ কাভানি অবশ্য এফএ নিয়ম লঙ্ঘন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ তবে তিনি যে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সেটা আগেই জানিয়েছিলেন৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।