কলকাতা: সল্টলেক কঙ্কালকাণ্ডে এবার গ্রেফতার মৃতের বোন৷ তাকে রাঁচি থেকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ৷ ধৃত বৈদেহী সম্পর্কে অর্জুন মাহেশ্বরীর বোন৷ পুলিশ সূত্রে খবর, কঙ্কালকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ অর্জুন মাহেশ্বরীর বোন বৈদেহীর নাম জানতে পারে৷ তারপর তল্লাশি চালিয়ে রাঁচি থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ৷

প্রসঙ্গত, ১০ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অর্জুনের পোড়া কঙ্কাল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে অর্জুনের মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তারপর তার বোনকে গ্রেফতার করা হল৷

অর্জুনের পোড়া কঙ্কাল উদ্ধারের পর এ জে ব্লকের বাড়িতে যায় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা৷ তারা সল্টলেকের ওই বাড়ির ভিতর থেকে কয়েকটি নকশা পান৷ এছাড়া বাড়ির চারদিকে একাধিক স্বস্তিক চিহ্ন ও ত্রিশুল পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ যা ইঙ্গিত করে তন্ত্রসাধনার, এমনটাই সূত্রের খবর৷

ছেলেকে কিভাবে মারা হয়েছে? ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন,বাড়ির হলঘরে চেয়ারে বসিয়ে দেহটি পোড়ানো হয়েছে৷ পোড়া গন্ধ আটকাতে ব্যবহার করা হয়েছিল কর্পূর, ঘি, ধুনো জাতীয় জিনিস৷ তাছাড়া বাড়ির পিছন থেকে পাওয়া গিয়েছে পোড়া কাঠের গুঁড়ো৷

গত ১০ ডিসেম্বর এজে ব্লকের ২২৬ নম্বর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অর্জুন মাহেশ্বরীর কঙ্কাল৷ তারপরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির মালিক অনিল মাহেশ্বরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁরই স্ত্রী গীতা মাহেশ্বরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷

তাঁর অভিযোগ ছিল, বড় ছেলে অর্জুনকে খুন করে গুম করা হয়েছে। গন্ডগোলের জেরে দুই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান তাঁর স্ত্রী। কিন্তু কিছুতেই তিনি বড় ছেলের খোঁজ পাচ্ছেন না৷ ২৫ বছরের ওই ছেলেকে খুন করা হয়েছে৷ এরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে অনিলবাবুর ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। তখন গীতাদেবী বাড়িতে তান্ত্রিক ডাকেন। ব্যবসায় খানিক উন্নতি হলেও কয়েকদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়।

তখন সল্টলেকের বাড়ি ছেড়ে রাজারহাটে থাকতে শুরু করেন অনিল মহেন্সারিয়া৷ ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান গীতাদেবী৷ কিন্তু বড় ছেলের খোঁজ না পেয়ে অনিলবাবু পুলিশকে জানান৷ তারপরই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।