কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরের ‘অধিকারী সাম্রাজ্যে’ আগেই থাবা বসিয়েছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার কি শুভেন্দুর ভাই তথা সদ্য কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে অপসারিত সৌমেন্দু অধিকারীও বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন?

স্পষ্টভাবে এখনও এবিষয়ে কোনও খবর না মিললেও জল্পনা বাড়ছে। সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে নাকি বছর শুরুর দিনেই দাদা শুভেন্দুর সভায় দলবদল করত পারেন ভাই সৌমেন্দু, এমনই গুঞ্জন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজনীতির অন্দরে।

শুভেন্দুর গেরুয়া যোগের পরপরই তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়েছে তৃণমূল। যা নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সৌমেন্দু অধিকারীর আর এক দাদা তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।

তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। কাঁথি পুরসভায় নিজের অফিসে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিব্যেন্দুর। কাঁথি পুরসভায় নিজস্ব দফতর রয়েছে অধিকারী পরিবারের চার সদস্যেরই। কাঁথির সাংসদ তথা শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, সৌমেন্দু অধিকারী-সহ শুভেন্দু অধিকারীরও পুরভবনে অফিস রয়েছে। আপাতত অধিকারী বাড়ির কেউই কাঁথি পুরভবনের কার্যালয়ে যাচ্ছেন না।

এদিকে, সৌমেন্দুর জায়গায় বৃহস্পতিবারই কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদের দায়িত্বে এসেছেন সিদ্ধার্থ মাইতি। শুক্রবার, ১ জানুয়ারি কাঁথিতেই সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। সেই সভাতেই নাকি দাদা শুভেন্দুর পথ ধরে দলবদল করতে পারেন ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। এমনই গুঞ্জন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজনৈতিক মহলে। সৌমেন্দুর সঙ্গে নাকি তৃণমূলের আরও কয়েকজন নেতা-কর্মীও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের দূরত্ব অনেকটাই বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতেই অধিকারী পরিবারের কাউকেই সেভাবে দেখা যায়নি। গত রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর কড়া সমালোচনা শোনা যায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে।

সেদিন ডায়মন্ড হারবারের সভা মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘বাড়িতেই পদ্ম ফোটাতে পারেননি। তিনি আবার বাংলায় পদ্ম কীভাবে ফোটাবেন।’’ এরপর মঙ্গলবার খড়দহের সভা থেকে অভিষেকের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু।

তিনি বলেন, ‘‘সঠিক সময় এলে বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে।’’ রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, নিজের কথাই এবার সত্যি প্রমাণ করতে চলেছেন শুভেন্দু। আপাতত ভাই সৌমেন্দুকে বিজেপিতে টেনে তৃণমূলকে আরও একবার ‘মোক্ষম’ জবাব দিতে চান ‘জননেতা’।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।