যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের রায়-বন্দ্যোপাধ্যায়রা! ২০২১-এর আগে কাদের নিশানা বিজেপি সাংসদ সৌমিত্রর
দলবদলের রাজনীতিতে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি (bjp) যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ (soumitra khan)। নামের প্রথম অংশ উল্লেখ না করেই তিনি বলেছেন, রায়, বন্দ্যোপাধ্যায়রা দীর্ঘদিনই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, হাওড়ার সাত থেকে আটজন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যদিও এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।

হাওড়ায় গিয়ে জল্পনা বাড়ালেন সৌমিত্র
হাওড়ায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেখানে তিনি দাবি করেন, রায়বাবু দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হওয়ায় রায়বাবু কিছুটা পিছিয়ে এসেছেন। কেননা জেলা রাজনীতিতে রায় ও বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে বারেবারে। এই দুজনের মধ্যে যে কোনও একজন খুব তাড়াতাড়ি বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে দাবি করেছেন সৌমিত্র খাঁ।

হাওড়ার ৭-৮ জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন
সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছেন, শুধু এই দুজনই নন, হাওড়ার অন্তত সাত থেকে আটজন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, এঁদের মধ্যে কাকে কাকে বিজেপিতে নেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে জানুয়ারিতে অমিত শাহের বঙ্গ সফরের সময় এই দলবদল হবে কিনা তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি সৌমিত্র। অমিত শাহের আগেকার সূচি অনুযায়ী ১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দের জন্ম বার্ষিকীতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও ডুমুরজলায় সভা করার কথা ছিল। পরবর্তী সময়ে জনানা যায়, তিনি ১৯ কিংবা ২০ জানুয়ারি বঙ্গ সফরে আসবেন এবং বনগাঁর ঠাকুরনগরে সভা করে সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করবেন।

বেসুরোদের তালিকায় অনেকেই
কিছুদিন বেসুরো থাকার পরে ১৯ ডিসেম্বর অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিভিন্ন জেলার অন্তত ৮০ জন নেতা, জনপ্রতিনিধি। যত দিন যাচ্ছে তৃণমূলের বেসুরোদের তালিকাটা দীর্ঘ হচ্ছে। দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন, নেতা, মন্ত্রী, বিধায়করা। সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও অধিকারী পরিবারের তিন সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী, সৌমেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীও রয়েছেন বলেই শোনা যাচ্ছে। সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পুরসঙার প্রশাসকের পদ থেকে সরানোর পর দিব্যেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পদে না ফেরানো পর্যন্ত তাঁরা পুরসভায় যাবেন না। পাশাপাশি পুরসভার বিপরীতে একটি ঘর নিয়ে সেখান থেকে জনসংযোগ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

দাবি উড়িয়েছেন অরূপ রায়
সৌমিত্র খাঁ-র দাবি নিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও, মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অরূপ রায় জানিয়েছেন, তিনি নীতি নিয়ে রাজনীতি করেন। ওঁদের মতো দলবদলের কোনও ইতিহাস নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শান্তনুর মানভঞ্জন কোন সমীকরণে? মতুয়া ভোট ধরে রাখতে দিলীপ ঘোষের 'মাস্টারস্ট্রোক'