জয়পুর ও চণ্ডীগড়: কৃষি আইন বাতিল চেয়ে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে আংশিক ফলপ্রসু আলোচনার পরেও পরিস্থিতি গরম হরিয়ানা ও রাজস্থান সীমান্তে। আন্তঃরাজ্য সীমানায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের লাঠিতে কয়েকজন কৃষক জখম হলেন।
ঘটনার জেরে দুই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে জড়িত থাকায় প্রায় তিরিশ জন বিক্ষোভকারী কৃষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এদিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাজস্থান ও হরিয়ানার সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ করছিলেন বেশ কিছু কৃষক। দুই রাজ্যের পুলিশ নিজ নিজ এলাকায় মোতায়েন ছিল। আন্তঃরাজ্য চেক পোস্ট সংলগ্ন ব্যারিকেড হটিয়ে দেন কৃষকরা। এর পরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশের দিকে তেড়ে যান কৃষকরা। পুলিশ লাঠি চালাতে শুরু করে।
রাজস্থানের দিক থেকে কৃষক বিক্ষোভকারীরা একটার পর একটা ট্রাকটর হরিয়ানা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকিয়ে দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে হরিয়ানার পুলিশ ট্রাকটর করে আসা কৃষকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় সংঘর্ষ। অন্যদিকে রাজস্থান পুলিশও তাদের দিকে থাকা কৃষকদের সরিয়ে দিতে লাঠি চালায়। বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ থামাতে পরে দুই রাজ্যের প্রশাসন উদ্যোগী হয়। কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে। বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন।
এদিকে দিল্লি ঘিরে থাকা লক্ষ লক্ষ কৃষকদের যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বের সাথে বুধবারের বৈঠকে কেন্দ্র সরকার প্রাথমিকভাবে কৃষি আইন বাতিলে অনড় অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আরও কিছু দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে। সারা ভারত কৃষক সভা সহ বাকি সংগঠনগুলির দাবি, কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে। ষষ্ঠ বারের বৈঠকের পর জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ হবে ফের বৈঠক।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.