মা-বোনেদের ইজ্জত লুট বন্ধের উপায় দিলীপের কাছে! মমতাকে নিশানা করে বিস্ফোরক বিজেপি রাজ্য সভাপতি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) মহিলাদের সম্মান বিক্রি করেন। এদিন গড়বেতার সভা থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন বিজেপির (bjp) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। মহিলাদের সম্মান রক্ষায় হিন্দু যুবকদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় স্থানীয় নির্বাচনে বড় ধাক্কা! একের পর পুরসভায় হার গেরুয়া জোটের

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সভায় দিলীপ
এদিন দিলীপ ঘোষ গড়বেতায় গিয়েছিলেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সভায়। সেখানে তিনি বলেন, মা-বোনেদের সম্মান রক্ষায় হিন্দু যুবকদের এক হতে হবে। প্রয়োজন হলে তাঁদের অস্ত্র হাতে তুলে নিতে হবে। তাঁর দাবি সংবিধান সেই অধিকার দিয়েছে। তিনি বলেন, ধর্ম, সম্মান আর প্রাণ রক্ষায় অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়া আইনের চোখে কোন ও অপরাধ নয়।
এদিন দিলীপ ঘোষ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, হাতের পেশি নরম হয়ে গিয়েছে। তাই তলোয়ার কিংবা বন্দুক ধরতে পারছেন না। কিন্তু তারই মধ্যে চোখের সামনে থেকে মা বোনেদের টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ধর্ষণ করা হচ্ছে। কিন্তু যাদের পরিবারে হচ্ছে তারা কাকুতি মিনতি করে থানায় যাচ্ছেন। তিনি বলেন আগে প্রতিশোধ নিতে, তারপর থানায় যেতে হবে।

মহিলাদের সম্মান বিক্রি করেন মমতা
এদিন গড়বেতার সভা থেকে দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, মহিলাদের সম্মান বিক্রি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষণ কিংবা, শ্লীলতাহানির কোনও ঘটনা ঘটলেই তিনি বলেন, সেই মহিলার চরিত্র খারাপ। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ইজ্জতের দাম দিতে তিনি ধর্ষিতাকে ক্ষতিপূরণের অঙ্কও ঠিক করে দেন। তাঁর প্রশ্ন মহিলাদের সম্মান বিক্রি করার অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গ হল মাতৃপূজার দেশ। এখানকার মানুষ ভেবেছিল মহিলাকে মুখ্যমন্ত্রী করলে মা-বোনের সম্মান সুরক্ষিত হবে। কিন্তু তা হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন।

চুড়ি পরে বসে নেই তৃণমূল
পাল্টা দিলীপ ঘোষকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তিনি বলেছেন, যদি কেউ ভেবে থাকেন , তৃণমূলের লোকেরা হাতে চুড়ি পরে বলে আছে, তাহলে ভুল করবেন। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, এই ধরনের বেআইনি কথা বিজেপি নেতাদের মুখেই শোনা যায়। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বেআইনি কথা বলে লাভ হবে না, অস্ত্র হাতে তুলে নিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরও বলেন, একটা নয়, হাজারটা দিলীপ ঘোষকে সামলানোর ক্ষমতা তৃণমূলের রয়েছে।

মানুষের বিশ্বাস বিজেপির সঙ্গে
দিন কয়েক আগে আরামবাগের সভা থেকে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, মানুষের বিশ্বাস রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। তিন বলেছেন, একটা সময় মানুষের সামনে কোনও বিকল্প ছিল না। কিন্তু লোকসভায় রাজ্য থেকে বিজেপি ১৮ টি আসন পাওয়ার পরেই মানুষের মনে বিজেপির প্রতি বিশ্বাস বাড়তে শুরু করেছে। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিজেপি মারবে না, মানুষই তাদের জামাকাপড় খুলে নেবে।
অত্যাচারীদের বরদাস্ত করেনি।