নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর লুঠপাট, অভিযোগে তীর বিজেপির দিকে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়।

দাবি করা হচ্ছে, গভীর রাতে নন্দীগ্রামের মহাম্মদপুরে তৃণমূলের বুথ পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিজেপির কর্মীরা। ভাঙচুর চালানোর সময় পার্টি অফিসের আশেপাশে থাকা মানুষজন বেরিয়ে এলে ভাঙচুরকারীরা পালিয়ে যায় বলে দাবি। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান অভিযোগ করে বলেন, শান্ত নন্দীগ্রামকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে সাম্প্রদায়িক দল বিজেপি। অন্যদিকে এই ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।

নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পাল অবশ্য বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে পালন হবে শহিদ দিবস। সেই দিন ভোরে শহিদ বেদিতে মাল্য দান করবেন তৃনমূল রাজ্য নেতৃত্ব। এছাড়া মাল্যদান করবেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারিও। সকালে নন্দীগ্রাম কলেজ মাঠে তৃণমূলের কর্মী সভাও আছে ।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর অরাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচির পদযাত্রাতে যোগদানের জন্য আসার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার দাবি তুলেছে শুভেন্দু সমর্থকেরা। অভিযোগ মঙ্গলবার সকালে যখন নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন পদযাত্রার উদ্দেশ্যে আসছিলেন, সেসময় হঠাৎ নন্দীগ্রামের ভুতামোড়ের কাছে যোগদানকারীদের বেশ কয়েকটি বাস ও গাড়ি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। বাস থেকে নামিয়ে বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।

এই ঘটনায় প্রায় ১৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ছুটে আসে। এরপরে ক্ষোভ-বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ভুতামোড়ের কাছে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে শুভেন্দুর কর্মসূচি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড় অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি সমর্থকরা। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম থানার সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।