লন্ডন: এভার্টন বনাম ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, নিউক্যাসল ইউনাইটেড বনাম অ্যাস্টন ভিল্লার পর এবার টটেনহ্যাম বনাম ফুলহ্যাম। লন্ডনে নতুন করে করোনা উদ্বেগের কারণে স্থগিত হয়ে গেল প্রিমিয়র লিগের আরও একটি ম্যাচ। ব্রিটেনে করোনার নতুন স্ট্রেন ঘিরে এমনিতেই উদ্বেগে গোটা বিশ্ব। তার উপর সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডনে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সবমিলিয়ে বুধবার উত্তর লন্ডনের ক্লাব টটেনহ্যামের মাঠে গিয়ে ম্যাচ খেলতে আপত্তি জানায় পশ্চিম লন্ডনের ক্লাব ফুলহ্যাম।

এমনকি প্রিমিয়র লিগ কর্তৃপক্ষকে তারা জানায় তাদের ক্লাবের বেশ কিছু ফুটবলারের শরীরে করোনার উপসর্গও দেখা দিয়েছে। ফুলহ্যামের আবেদন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য বুধের সকালে জরুরি ভিত্তিতে একটি বৈঠক ডাকে প্রিমিয়র লিগ কর্তৃপক্ষ। সেখানেই এদিনের ম্যাচটিকে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর আগে গত সোমবার এভার্টন-ম্যান সিটি এবং নিউক্যাসল-অ্যাস্টন ভিল্লা ম্যাচ স্থগিত রাখতে হয়েছিল করোনা উদ্বেগের কারণে।

প্রিমিয়র লিগ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘করোনা সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ফুলহ্যাম ক্লাব বুধবার তাদের টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে ম্যাচটির সূচি পরিবর্তন করার অনুরোধ জানায়। একইসঙ্গে ফুলহ্যামের একাধিক ফুটবলারের শরীরে করোনার উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাই প্রিমিয়র লিগ বোর্ড তার মেডিক্যাল উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করে ম্যাচটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে ফুটবলার এবং স্টাফেদের স্বাস্থ্যকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়েছে প্রিমিয়র লিগ বোর্ড।’ তবে পরিবর্তিত সূচি এখনও ঘোষণা করেনি  ইপিএল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ফুলহ্যামের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের সিনিয়র দলের একাধিক ফুটবলার এবং সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরকে সেলফ-আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার প্রিমিয়র লিগ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন দলের ফুটবলার এবং সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে ১৮ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। যা চলতি মরশুমে এখনও অবধি সর্বোচ্চ। শেফিল্ড ইউনাইটেড তাদের শিবিরে একাধিক সদস্যের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে ইতিমধ্যেই।

তবে উদ্বেগের মধ্যেও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে প্রিমিয়র লিগ কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রোটোকল মেনে সূচি অনুযায়ী প্রিমিয়র লিগের ম্যাচ আগামীদিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে তারা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।