নয়াদিল্লি : ব্রিটেন অনুমোদন দিয়েছে। তবু অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় ভারত। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি বা এসইসি বুধবার এক বৈঠকের আয়োজন করে। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সব দিক বিবেচনা করার পরেই ভারতে কোনও একটি ভ্যাকসিনকে মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে। তবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন নিয়ে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে ভারতে জরুরি অবস্থার জন্য ভ্যাকসিন হিসেবে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন, পিফিজার, ভারত বায়োটেকের আর্জি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। ব্রিটেনে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়ার পরে এই বৈঠক বসে। এসইসি জানিয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসনিকে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আরও তথ্য ও ডেটা প্রয়োজন। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি সেরাম ও ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। তথ্য পাঠাচ্ছে পিফিজার ইন্ডিয়াও। পয়লা জানুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার ফের বৈঠকে বসছে কমিটি।
এরই মাঝে ব্রিটিশ ওষুধ ও স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা MHRA-এর প্রস্তাব অনুযায়ী, বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকার কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকার জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে , বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে ব্রিটেনে ভ্যাকসিনেশন শুরু করে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ সামনে আনা হবে। নতুন বছর থেকে পুরোদমে টিকাকরণের কাজ চলবে। আশা করা হচ্ছে নতুন বছরে কিছুদিন পর থেকে কোটি কোটি ডোজ সরবরাহ করা যাবে। ব্রিটিশ মন্ত্রী মাইকেল গভের মতে, ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেশের কঠোর লকডাউনকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।
ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ায় উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। টুইটারে এ দিন সেই উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “এই হল ব্রিটিশ বিজ্ঞানের জয়। এবার আমরা যত বেশি সংখ্যাক মানুষকে পারব টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আনব।”
উল্লেখ্য, এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত ঘটনা ঘটেনি। প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার মধ্যেকার সময়ের পার্থক্য ছিল ১৪ দিন। এরমধ্যে কোনও স্বেচ্ছা সেবকের দেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না দেখা যাওয়ায়, ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী ব্রিটেনবাসী।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.