কলকাতা: দলের প্রতি মান ভেঙেছে শান্তনু ঠাকুরের। বুধবার দলীয় দফতরে বিজেপি নেতা মুকুল রায়, স্বপন দাশগুপ্তদের পাশে বসেই বনগাঁর বিজেপি সাংসদ বললেন, ‘‘বিজেপিতেই আছি। CAA বিরোধী তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।’’

সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এমনকী তাঁর দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে CAA কার্যকর করা ইস্যুতে প্রকাশ্যে তোপ দাগেন শান্তনু।

তিনি বলেছিলেন, ‘‘কেন্দ্রের মোদী সরকার ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই এরাজ্যে সিএএ চালু করতে পারছে না। দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করেই পিছিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।’’ দলেরই সাংসদ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে এভাবে তোপ দাগায় বিধানসভা ভোটের আগে স্বভাবতই অস্বস্তি বাড়ে গেরুয়া শিবিরের।

শান্তনুর সঙ্গে কথা বলে দ্বন্দ্ব মেটাতে তৎপরতা নেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কলকাতায় ডেকে শান্তনুর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। CAA নিয়ে তাঁর ক্ষোভের কথা শোনেন দিলীপ ঘোষ। এব্যাপারে দলের অবস্থানও শান্তনুর কাছে ব্যাখ্যা করেছেন দিলীপ ঘোষ।

জানা গিয়েছে, এদিন CAA ছাড়াও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়। এরপর বুধবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায়ের পাশে সাংবাদিক বৈঠকে দেখা যায় শান্তনু ঠাকুরকে। সাংবাদিক সম্মেলনে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সাফ বলেন, ‘‘বিজেপিতেই আছি। CAA বিরোধী তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। CAA নিয়ে আমার দাবি দলকে জানিয়েছি।’’

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে CAA কার্যকর করা নিয়ে প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপিরই সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তোপ দাগায় জল্পনা তৈরি হয়। সেই আবহেই শান্তনুকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার অন্যতম শীর্ষ তৃণমূল নেতা। তারপর থেকেই শান্তনুর মান-ভাঙাতে তৎপরতা শুরু করে রাজ্য বিজেপি। শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে দফায়-দফায় কথা বলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।