মেদিনীপুরঃ  অধিকারী সাম্রাজ্যে ইতিমধ্যে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। বাড়ির ছেলে শুভেন্দুকে ইতিমধ্যে দলে টেনেছে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলেই রয়েছেন বাড়ির অভিভাবক শিশির অধিকারী। শুধু তাই নয়, তৃণমূলেই রয়েছেন পরিবারের আরও দুই সদস্য। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর দুই ভাই। যা নিয়ে গত কয়েকদিন আগেই অভিষেকের তোপের মুখে পড়তে হয় শুভেন্দু অধিকারীকে।

অভিষেক বলেন, ‘উনি বলছেন তৃণমূল করেছি বলতে লজ্জা লাগে। আরে তোমার বাবা-ভাই তো তৃণমূল করছে। তাঁদের ভাঙিয়ে নিয়ে যেতে পারলেন না। নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোটাতে পারেন না, ওরা আবার নাকি বাংলায় পদ্ম ফোটাবে।’

যুব তৃণমূল সভাপতির এই মন্তব্যের জবাবে পালটা বারাকপুরে দাঁড়িয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। চড়া সুরে অভিষেকের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, ‘মাননীয় ভাইপোর রাগ হয়েছে। এখনও বাসন্তী পুজো আসেনি। রাম নবমী হয়নি। সবে তো এখন পদ্ম কুড়ি ফুটেছে। পদ্ম ফুটবে তো। রাম নবমীতে ফুটবে। আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে। তোমার বাড়িতে ঢুকেও পদ্ম ফোটাবো। হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটেও পদ্ম ফুটবে।’

অভিযোগ এবং পালটা অভিযোগের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে হঠাত করেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ করা হয় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ তথা শুভেন্দু-সৌমেন্দুর আর এক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। এখন থেকে পুরসভায় নিজের অফিসে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিব্যেন্দুর। আর এই পরিস্থিতিকে কি কাজে লাগাতে চেষ্টা করছে বিজেপি? উঠছে প্রশ্ন।

আজ রণকৌশল ঠিক করতে আজ নিজের বাড়িতেই বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে শিশির অধিকারীর সঙ্গে এসে দেখা করেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাত–সহ বেশ কয়েকজন নেতা। পরে বলেন যে একান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎকার। আগামী ১ জানুয়ারি কাঁথির ডরমেটরি সংলগ্ন মাঠে বিজেপি’‌র সভা হবে। যেখানে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী নিজে। ওই সভা থেকে কাঁথি পুরসভার ১৬ জন কাউন্সিলর–সহ তৃণমূলের অনেক নেতাই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।