পানাজি: ইস্টবেঙ্গলে কেরিয়ারের তৃতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন শুভাশিস রায়চৌধুরি। ২০১৯ আইএসএলে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগদানের পর চলতি মরশুমেও হাইল্যান্ডারদের জার্সিতে মরশুম শুরু করেছিলেন বাঙালি গোলরক্ষক। কিন্তু নর্থ-ইস্ট জার্সিতে পর্যাপ্ত ম্যাচ-টাইম পাচ্ছিলেন না শুভাশিস। অন্যদিকে রফিক আলি সর্দারকে লোনে ছেড়ে দিয়ে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোয় স্কোয়াডে গোলরক্ষক পজিশনে দেবজিতের পাশে আরও এক অভিজ্ঞকে চাইছিল ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট।
ডাক পড়ে শুভাশিসের। লাল-হলুদ সংসারে যোগ দেওয়ার জন্য ইচ্ছেপ্রকাশ করেন শুভাশিসও। তবে লোনে নয়, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গ করেই লাল-হলুদ শিবিরে যোগ দিচ্ছেন বাঙালি গোলরক্ষক। মে ২০২২ পর্যন্ত কলকাতা জায়ান্টদের সঙ্গে চুক্তি সারলেন শুভাশিস। ওডিশা এফসি ম্যাচ থেকে প্রয়োজনে শুভাশিসকে ব্যবহার করতে পারেন ফাওলার। মঙ্গলবারই সবুজ-মেরুন শিবির থেকে ফুল-ব্যাক অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়কে দলে নিয়েছে ফাওলার অ্যান্ড কোং।
এদিকে কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিলেন সপ্তম বিদেশি ব্রাইট এনোবাখারে। তবে প্রথমদিন বল পায়ে অনুশীলনে নামেননি নাইজিরিয়ার বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে খেলা এই ফুটবলার। প্রথমদি জিম সেশনেই সময় কাটান তিনি। বৃহস্পতিবার থেকে দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে বল পায়ে অনুশীলনে নামবেন তিনি। কয়েকদিনের অনুশীলনে দেখে নিয়ে আগামী রবিবার ওডিশার বিরুদ্ধে তাঁকে মাঠে নামানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন ফাওলার। কালাম উডস দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করে দিলেও অ্যারন থেকে গেলে তাঁর অতিরিক্ত হিসেবে রয়ে যাওয়া ছাড়া গতি নেই।
সবমিলিয়ে নতুন বছরে খানিকটা নতুনরূপে ফাওলারের এসসি ইস্টবেঙ্গল। এদিকে বছর শেষে জামশেদপুর এফসি’র সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলল এসসি ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতল ফাওলারের দল। মূলত রিজার্ভ দলের ফুটবলারদের এদিন দেখে নিলেন ব্রিটিশ কোচ। জানা গিয়েছে, হরমনপ্রীত সিং ২টি এবং নারায়ণ দাস একটি গোল করেন। উল্লেখ্য, আগামী ৩ জানুয়ারি ওডিশা এফসি’র বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে নতুন বছরে অভিযান শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.