নয়াদিল্লি : কৃষক বিক্ষোভ কি তাহলে অন্তিম পর্যায়ে ? বুধবার ষষ্ঠ দফার বৈঠকের পর তেমন কিছুটা হলেও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। কৃষক ও কেন্দ্রের মধ্যে ষষ্ঠ দফার বৈঠক শেষ হল বেশ সদর্থক সুরেই। পরবর্তী বৈঠক চৌঠা জানুয়ারি হবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানান, আলোচনা আরও হবে। যতক্ষণ না কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসছে। এদিন কৃষিমন্ত্রী বলেন এদিনের বৈঠকে সমাধানের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। পরিবেশ সংক্রান্ত একটি ইস্যুতে ঐক্যমত্য পাওয়া গিয়েছে। পারালি বা বিচালি পোড়ানোর বিষয়টিতে সহমত হওয়া গিয়েছে। চারটি ইস্যুর মধ্যে দুটি ইস্যুতেই কেন্দ্র ও কৃষক মত মিলেছে।
এদিকে, নতুন কৃষি বলের বিষয়ে পুনর্বিবেচনার করার আর্জি মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের প্রতিটি দাবি দাওয়া খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে কৃষিমন্ত্রীর তরফে। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দিল্লির প্রচন্ড ঠান্ডার কথা মাথায় রেখে শিশু, মহিলা ও বয়স্কদের বাড়ি ফেরত পাঠাবার আবেদন জানানো হয়েছে কৃষক নেতাদের কাছে।
কৃষি মন্ত্রী জানিয়েছেন কিষাণ ইউনিয়ান নেতারা শান্তি বজায় রেখে কেন্দ্রের বার্তা শুনেছেন। তাই এই বৈঠকের পরে খুব দ্রুত কোন সিদ্ধান্তে ও সমাধানে পৌঁছনো যাবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র। বিদ্যুৎ আইন নতুন করে ভেবে দেখার ব্যাপারে দাবি জানিয়ে ছিলেন কৃষক নেতারা। সেই ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে বলে তোমর জানান।
এছাড়াও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এমএসপি সিস্টেম নতুন করে খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। নূন্যতম সহায়ক মূল্য যাতে কৃষকরা পান, তার ব্যবস্থা এই কমিটি করবে বলে জানানো হয়েছে। ষষ্ঠ দফার বৈঠক চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে।
কৃষি আইন বাতিল, ন্যুনতম সহায়ক মূল্য চাই, বিদ্যুতের মাসুল প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন লক্ষ লক্ষ কৃষক। পরিস্থিতির চাপে কেন্দ্রের মোদী সরকার। আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষক সংগঠনগুলির নেতৃত্বে থাকা সারা ভারত কৃষকসভা ও বিকেইউ সহ সব সংগঠন। সরকারও আইন চালু রাখতে মরিয়া।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.