শুভেন্দুর পথ ধরে শিশির-দিব্যেন্দুরাও কি বিজেপিতে! পদ্ম ফোটার দিনক্ষণ কি চূড়ান্ত
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পরই বিতর্ক ছড়িয়েছিল, তাহলে তাঁর পরিবারের বাকিরা কী করবেন। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী স্বয়ং। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের মঞ্চ থেকে তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা কোন দলীয় রাজনীতিতে থাকবেন। জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন একুশের আগে।

রামনবমীতে শুভেন্দুর বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে!
তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এখন পসার জমিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর বিরুদ্ধে দুদিন আগেই অভিষেক তোপ দেগেছিলেন পরিবারেই পদ্ম ফোটাতে পারেননি, তিনি আবার বাংলায় পদ্ম ফোটাবেন। অভিষেকের সেই কথার জবাব দিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দু বলেন, রামনবমী আসছে, আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে।

শুভেন্দুর পর জল্পনায় শিশির-দিব্যেন্দু-সৌম্যেন্দুও
শুভেন্দুর এই বার্তা নতুন করে জল্পনা তৈরি করে দিল শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। ইতিমধ্যে শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারীরে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। ফলে তাঁর তৃণমূল যোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন বলে অভিযোগ, তিনি এখন নিশ্চিন্ত মনে বিজেপিতে যেতে পারবেন।

অধিকারী পরিবার কি বিজেপির দিকেই ঝুঁকবেন
বাকি থাকছেন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। প্রথমজন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও কাঁথির সাংসদ। আর দ্বিতীয় জন তমলুকের সাংসদ। তবে তাঁরাও কি বিজেপির দিকেই ঝুঁকবেন? শুভেন্দু আবার তাঁদের বিজেপিমুখী হওয়ার দিনক্ষণও জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, রামনবমী আসছে পদ্ম ফুটবে অধিকারী পরিবারে।

শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পর অধিকারীদের অবস্থান
শুভেন্দু অধিকারী পরিবারের রাজনৈতিক অভিভাবক হয়ে উঠেছিলেন স্বল্প দিনেই। বাবা শিশির অধিকারী তৃণমূলের জেলা সভাপতি হলেও তিনি নিজেকে রাজ্যস্তরে উন্নীত করেছিলেন। সেই তিনি এখন বিজেপিতে। ফলে অন্যরা বিজেপিমুখী হবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেই মতোই সৌম্যেন্দু বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। তবে অন্যরা তৃণমূলে থাকারই বার্তা দিয়েছিলেন।

শিশির-দিব্যেন্দুও কি তৃণমূল ছেড়ে দেবেন
শুভেন্দুর সেজভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকছেন বলে ফলাও করে জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন তিনি পাগলা ষাঁড় হয়ে যাননি যে বিজেপিতে যাবেন। এদিনও তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে দাদা শুভেন্দুকে জবাব দিয়েছেন কড়া ভাষায়। আর শিশির অধিকারী এখন অসুস্থ। ফলে তাঁকে কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যাচ্ছে না।

অধিকারী পরিবারের দুই-ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ
সৌম্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি-যোগের অভিযোগ উঠছিল। তিনি তৃণমূলে থেকেই বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি তাঁর বিরদ্ধে সরব হন জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অখিল গিরি। তারপরই রাজ্যের তরফে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে। ফলে অধিকারী পরিবারের দুই-ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হয় তৃণমূলের।

জননেতা হয়েও কেন নিজের দল গড়লেন না, বিজেপিতে যোগদানে আসল কারণ খোলসা করলেন শুভেন্দু