নন্দীগ্রামঃ  দল ছেড়েছেন নন্দীগ্রামের বেতাজ বাদশা! সেখানে শক্তিপ্রদর্শনে আগামী ৭ তারিখ সভা করার ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হঠাত সেই সভা বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এভাবে সভা বাতিল করায় নাম না করে মমতাকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

বললেন, অনেকে তো কর্মসূচি ঘোষণা করে পগারপার হয়ে যান। গত কয়েকদিন আগে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। কিন্তু নন্দীগ্রাম থেকেই তৃণমূলে বিরুদ্ধে মুখ খোলেন শুভেন্দু।

বলেন, ভোট আসলেই নন্দীগ্রামের কথা কারো কারো মনে পড়ে! এরপর অনেকটাই গড়িয়েছে জল। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথমবার নন্দীগ্রামে ঢুকলেন শুভেন্দু।

নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত ‘অরাজনৈতিক’ সেই ধর্মীয় মিছিলে যোগ দিলেন। একেবারে হুডখোলা জিপে ঘুরলেন নদনীগ্রামে। নন্দীগ্রামের মাটিতে কার্যত নিজের শক্তিপ্রদর্শন করলেন শুভেন্দু। মিছিল থেকেই সুর চড়ালেন তিনি, শুভেন্দুর সাফ বার্তা, ‘আমাদের দুর্বল ভাবা উচিত হবে না।’

যদিও এদিন নন্দীগ্রামে একটি পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু। সেই মঞ্চ থেকেই রাজনৈতিক কথাবার্তা বলবেন না বলেও আওয়াজ ছড়িয়েছেন শুভেন্দু। দাবি করেন, ‘তোলাবাজ ভাইপো’-র নির্দেশে তাঁর ছবিতে কালি ছেটানো হচ্ছে।

নাম না করে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ‘ভোটের পর প্রমাণ করে দেব, আমার পাশে আছে নন্দীগ্রামের মানুষ।’ তার আগেই আগামী ৮ জানুয়ারির সভায় শুভেন্দুর কতটা জনভিত্তি আছে, তা প্রমাণের আর্জি জানান। নন্দীগ্রামের ১৭ টি অঞ্চল থেকে এক লাখ মানুষকে জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেন শুভেন্দু।

সেই সঙ্গে নাম না করে মমতাকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘অনেকে তো কর্মসূচি ঘোষণা করে পগারপার হয়ে যান। বলেছেন যে পরে করবেন। পরে (সভা) করলে তখন আমি আবার করব।’

উল্লেখ্য, আগামী ৭ জানুয়ারি শহিদ দিবস উপলক্ষে নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু হঠাত করেই সেটা বাতিল করে দেওয়া হয়।

রহস্যজনক কোনও এক কারণে হঠাত সভা বাতিল কেন? তা নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়। তবে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে সোমবারই জানান, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি কোভিড পজিটিভ। তাঁকে ছাড়া নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ভাবাই যায় না। তাই এই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখোমুখি হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

স সেখানে তিনি বলেন, ‘‌অখিল গিরিকে বাদ দিয়ে নন্দীগ্রামের কর্মসূচিতে যাওয়া এখনও আমাদের দলের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এটা জানিয়ে রেখে আমরা নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলাম। তবে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার যে কর্মসূচি তা বহাল থাকছে। শুধু তারিখটা পরিবর্তন হবে। মূল আয়োজক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তিনি সুস্থ হলেই সভা করা হবে নন্দীগ্রামে।’‌

অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, ওই সভায় অংশ নেবেন সুব্রিত বক্সি। নন্দীগ্রামে এরপর মুখ্যমন্ত্রী কবে যাবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। রাজনৈতিকমহলের মতে, তাহলে কি শুভেন্দুর বিকল্প হিসাবে অখিল গিরিকে সামনে আনতে চাইছে তৃণমূল। অন্যদিকে সভা বাতিল নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, ৮ তারিখ বিজেপির নন্দীগ্রামে সভা। তাই ভয় পেয়ে মমতা নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন না। এভাবে অনেক জায়গায় যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।