তামিল রাজনীতিতে থালাইভা ফ্যাক্টর, ভোটের মুখে মোড় ঘুরল রজনীকান্তের সিদ্ধান্তে?
নতুন দল গড়া থেকে সরে দাঁড়ালেন থালাইভা রজনীকান্ত। ভোটের মুখে মোড় ঘুরতে চলেছে তামিল রাজনীতির। জল্পনাটা শুরু হয়েছিল বছরের শুরু থেকেই। শোনা যাচ্ছিল, রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন রজনীকান্ত। আর সেই জল্পনাকে উসকে দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর নতুন দল ঘোষণার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও আজ তিনি জানিয়ে দেন, কোনও রাজনৈতিক দল গঠন করছেন না।

২০১৭ সাল থেকেই রজনীকান্তের সক্রিয় রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা
রজনীকান্ত রাজনীতিতে নামছেন, এই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল একুশের ভোট সমীকরণ নিয়ে। ২০১৭ সাল থেকেই রজনীকান্তের সক্রিয় রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা৷ কিন্তু এবারও সেটা ধাক্কা খেল। আর এরই সঙ্গে ধাক্কা খায় তামিল রাজনীতিতে বিজেপির প্রাসঙ্গিক হওয়ার স্বপ্ন। এআইএডিএমকে-র সঙ্গে বিজেপির জোট থাকলেও, বিজেপির পাখির চোখ ছিল রজনীকান্ত। তবে সেই স্বপ্ন ভাঙল বিজেপির।

ক্ষমা চাইলেন রজনীকান্ত
এদিন টুইটারে রজনীকান্ত লেখেন, 'অনেক দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি রাজনীতিতে পা রাখছি না। এই কথা ঘোষণা করতে গিয়ে আমার খুবই খারাপ লাগছে। রাজনীতিতে প্রবেশ না করেও আমি সাধারণ মানুষের জন্য অনেক কিছুই করতে পারি। আমার এই সিদ্ধান্ত অনুরাগী ও সবাইকে যে আশাহত করেছে তা আমি জানি । দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।'

রজনীকান্তের সঙ্গে জোট গড়তে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কমল হাসান
এর আগে তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র পাঁচ মাস আগেই নতুন দল গঠন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন রজনীকান্ত। সেই মতো বছরের শুরুতেই নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করার কথা ছিল তাঁর। এমনকী তিনি নতুন দল গঠন করলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে জোট করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন কমল হাসান।

বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা
দক্ষিণী সুপারস্টারের যথেষ্ঠ প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে তামিল রাজনীতিতে। ১৯৯৬ সালে ডিএমকে প্রধান করুণানিধির সমর্থনে গলা ফাটিয়েছিলেন তিনি। হেরে গিয়েছিল জয়ললিতার এআইএডিএমকে। তাই তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে থালাইভার প্রভাব নেই একথা বললে ভুল হবে। স্তালিনের ভাই আলাগিরির সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক রজনীর। তবে মনে করা হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আরএসএস প্রধান মোহন ভগবতদের সঙ্গে দারুন সম্পর্ক রজনীর এই রাজনৈতিক দল তৈরির পিছনে অন্যতম কারণ ছিল।

রাজনীতিতে পা না রাখার সিদ্ধান্ত
এদিকে হায়দরাবাদে 'আন্নাথে'-র শুটিংয়ের সময় রক্তচাপ ওঠানামার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রজনীকান্ত। দু'দিন শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। রবিবারই হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর চেন্নাইতে নিজের বাড়িতে চলে যান। আর তারপরই আজ রাজনীতিতে পা না রাখার কথা জানান তিনি। এতে ডিএমকে সুবিধা পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
একুশে 'মিশন বাংলা', মমতার 'রেল ফর্মুলায়' অঙ্ক কষেই জয়ের পথ সুগম করছেন মোদী