জিতেন্দ্র তিওয়ারি ইস্যুতে বাবুল-বরফ কি গলল! তুমুল জল্পনার মাঝে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে মুখ খোলায় বিজেপি নিজের দুই নেতা নেত্রী অগিমিত্রা পল ও সায়ন্তন বসুকে শোকজ করে। জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে সবচেয়ে আগে মুখ খুলেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এবার তাঁকে নিয়েই আলাদা করে বসে বিজেপি আলোচনা করছে জিতেন ইস্যু। অন্তত সূত্রের দাবি এমনটাই।

জিতেন ইস্যুতে বাবুলকে ডাক
জানা গিয়েছে, জিতেন্দ্র তিওয়ারি ইস্যুতে বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে এদিন বৈঠকে বসে বিজেপি। জানা গিয়েছে, জিতেন ইস্যুতে বিজেপির অন্দরে যে বৈঠক হয়েছে, তাতে বাবুলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অরবিন্দ মেননের মতো নেতারা। এমনই দাবি সূত্রের।

গভীর রাতে জিতেনের বৈঠক!
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বাইপাসের ধারে একটি পাঁচতারা হোটেলে বিজেপির এক বৈঠক চলে। সেখানে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে হাজির হতে দেখা যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। সেখানে ততক্ষণে হাজির মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষরা। ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। ফলে ফের একবার জিতেনকে নিয়ে দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে।

জিতেনের পর পর পোস্ট ও স্টান্স
কয়েক দিন আগে , তৃণমূলে ফিরে গিয়ে জিতেন তিওয়ারি একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, 'রাজনীতিতে ফুলস্টপ বলে কিছু হয়না।' এরপরই জল্পনা চড়তে থাকে। পরের দিনই জিতে আরও এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, তিনি দিদির সঙ্গেই আছেন। এরপরই জিতেন জল্পনায় জল ঢালেন বলে খবর হয়। তবে পরবর্তী পর্যায়ে সোমবার গভীর রাতে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গাড়ি থেকে নামতে দেখেই জল্পনার পারদ চড়ে।

ববুল সুপ্রিয়র প্রতিক্রিয়া
এদিকে, বাবুল সুপ্রিয়কে জিতেন্দ্র তিওয়ারি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'আমি যখন দলে রয়েছি, আমাদের পার্টির একনিষ্ঠ সৈনিক। কোথাও আলোচনা বা বিতর্ক হয়, তা নিয়ে পার্টি আলোচনা করবে। ' এরপরই তাঁর কাছে প্রশ্ন যায়, যে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে তাঁর মনোভাব পাল্টেছে কী না। কারণ, আসানসোলের বুকে লোকসভা ভোচের সময় বিজেপি কর্মীদের উপর জিতেনবাহিনীর মারপিট নিয়ে কয়েকদিন আগেই সরব হন বাবুল। আর সেই প্রসঙ্গে উত্তর দিতেই বাবুল বলেন, মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে কী না, তা আগামী দিনেই দেখতে পাবেন।