টিআরপি কাণ্ডে নয়া মোড়! দোষ কবুল বার্ক প্রধানের, অর্ণবের বিরুদ্ধে বড়সড় প্রমাণ মুম্বই পুলিশের হাতে
সিএএ, এনআরসি হোক বা সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা, উদ্ধব সরকারের সঙ্গে সংঘাত হোক বা টিআরপি কেলেঙ্কারী, চলতি বছরেই একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে বারংবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী। এমতববস্থায় এবার চলতি বছরের অক্টোবরে রিপাবলিক টিভির টিআরপি কেলেঙ্কারির হাত ধরে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশি জেরায় দোষ কবুল বার্ক প্রধানের
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মুম্বই পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন এই গোটা কেলেঙ্কারীর পিছনে থাকা অন্যতম প্রধান মাথা তথা ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা বার্কের সিইও পার্থ দাশগুপ্ত। এমনকী পুলিশি জেরায় অর্ণবের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ নেওয়ার কথাও কবুল করেছেন তিনি। আর সেই টাকা নিয়েই রিপাবলিক টিভির দর্শক সংখ্যা বাড়াতে তিনি কারচুপি করেছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশকে।

পার্থ দাশগুপ্তের স্বীকারোক্তির পরেই চাপে অর্ণব
এদিকে টিআরপি কেলেঙ্কারির কথা সামনে আসতেই শুরু থেকেই নিজের দোষের কথা অস্বীকার করে আসছিলেন অর্ণব গোস্বামী। কিন্তু বর্তমানে পার্থ দাশগুপ্তের স্বীকারোক্তির পর তার উপর আরও চাপ বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টিআরপি কাণ্ডের তদন্ত চলাকালীন গত সপ্তাহেই পার্থবাবুকে নিজেদের হেফাজতে নেন মুম্বই পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে কৃর্তকার্যের কথা অস্বীকার করলেও বর্তমানে চাপের মুখে পড়ে অবশেষে দোষ কবুল করলেন তিনি।

তিন মাস পর্যন্ত বন্ধ সাপ্তাহিক রেটিং
এদিকে রিপাবলিক টিভির টিআরপি কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর মুখ পুড়েছিল ‘ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল' বা বিএআরসি-র। এমনকী সর্ষের মধ্যেই যে ভূত লুকিয়ে আছে তা শুরু থেকে টের পাচ্ছিলেন বার্কের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। তাই অক্টোবর থেকেই সংস্থার অভ্যন্তরে শুরু হয়ে গিয়েছিল স্বচ্ছতা অভিযান। এমনকী সেই সময় থেকে আগামী তিন মাস পর্যন্ত সমস্ত টিভি চ্যানেলগুলির সাপ্তাহিক রেটিং বন্ধেরও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বার্কের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও উঠে আসে একাধিক অভিযোগ
বর্তমান টিআরপি প্রদানের ব্যবস্থায় কোনও ফাঁকফোকর রয়েছে কিনা তা যাচাই করতেই মূলত বার্কের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এমনকী তাদের অভ্যন্তরীণ অর্ন্ততদন্তেও পার্থবাবুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। আর সেই পথে হেঁটেই অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখতে পায় মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। যদিও শুধু পার্থ বাবু নন এই গোটা কারচুপির পিছনেই একটা চক্র কাজ করত বলে জানা গিয়েছে।

২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যেই একাধিকবার লেনদেন
নাম জড়িয়েছে সংস্থার আর এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক রোমিল রামঘোরিয়ার। উঠে আসছে আরও বেশ কিছু শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তার নাম। এদিকে ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে ২০১৯ সাল নভেম্বর পর্যন্ত বার্কের সিইও দায়িত্ব ছিল পার্থ দাশগুপ্তের উপর। সেই সময়েই অর্ণেবের থেকে একাধিকবার টাকা নিয়েছিলেন বলে পুলিশি জেরায় জানান তিনি।
ছবি সৌ:টুইটার