চন্ডিগড়: পাঞ্জাবে আন্দোলনরত কৃষক এবং তাদের সমর্থনকারীরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি আঙ্গুল তুলেছে কর্পোরেটের দিকে। এবার তারা একেবারে রিলায়েন্স জিও টাওয়ারকে লক্ষ্য হিসেবে নিল যাতে এই মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার পরিষেবা ব্যাহত হয় এবং অসুবিধায় পড়ে এর গ্রাহকেরা। এইজন্য ওই আন্দোলনরত কৃষকরা রাজ্যে থাকা ১৩০০ মোবাইল টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্র এমন তথ্য দিচ্ছে। জিওর পাঞ্জাবে প্রায় ৯০০০ টাওয়ার রয়েছে। বেশ কিছু টাওয়ারের ফাইবার কেটে দেওয়া হয়েছে।

এই রাজ্যের কৃষকেরা নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছেন। আন্দোলনকারীরা নয়াকৃষি আইন বাতিলের দাবি তুলেছে। পাশাপাশি তারা স্লোগান তুলেছে বয়কট আম্বানি এবং আদানি গোষ্ঠীর পণ্য। তবে শিল্পমহলের একাংশের কৃষকদের এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। কারণ যদি আন্দোলনরত কৃষকরা রিলায়েন্সের পণ্য অথবা জিও সিম না নেয় অথবা পুরনো কানেকশন ছেড়ে দেয় সেটা একরকম শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কিন্তু এভাবে কোনও কোম্পানির সম্পত্তি নষ্ট করে প্রতিবাদ জানানোটা ঠিক নয়।

পরিস্থিতি খুবই সংকটজনক হয়ে ওঠে ২৫ ডিসেম্বর, যখন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং আবেদন করেন কৃষকদের কাছে -এমন কিছু‌ যেন না করা হয় যাতে সাধারণ জনগণের কোনও অসুবিধা হয়। কারণ এই করোনা পরিস্থিতিতে মোবাইল সংযোগ খুবই প্রয়োজনীয় হয়েছে যে কোন মানুষের কাছেই। মুখ্যমন্ত্রী এমন আবেদন রেখেছিলেন কারণ তাঁর কাছে টাওয়ার ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল এমন ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে কৃষকদের নিবৃত্ত করার জন্য তিনি যেন এগিয়ে আসেন।

এইজন্য আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন রাখেন, যেন তারা জোর করে কোনও টেলিকম সংস্থার সংযোগ বন্ধ করে না দেয় এবং কোনভাবেই যেন ওই টেলিকম সংস্থার কর্মীদের মারধর করা না হয়। তিনি কৃষকদের প্রতি আবেদনে জানিয়েছেন , পাঞ্জাবের ভবিষ্যতের স্বার্থে এমন ঘটনা ঘটানো উচিত নয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।