শুভেন্দুর পরিবারের আরও এক সদস্যের তৃণমূল-যোগ ছিন্ন, অধিকারী-গড়ে গেরুয়া প্রভাব
শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘ টালবাহানার পর তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তারপর থেকেই তাঁর ছোট ভাই কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌম্যেন্দু অধিকারীকে নিয়েই জল্পনা বাড়ছিল। এবার তাঁকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। ফলে তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়েও শুরু হল জল্পনা।

তৃণমূলে থেকেই বিজেপির হয়ে কাজ!
সৌম্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি-যোগের অভিযোগ উঠছিল। তিনি তৃণমূলে থেকেই বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন। সম্প্রতি তাঁর বিরদ্ধে সরব হন জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অখিল গিরি। তারপরই রাজ্যের তরফে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে।

শুভেন্দুর বাড়ির তিন সদস্যকে নিয়ে জল্পনা
শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পর থেকেই তাঁর বাড়ির তিন সদস্যকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও কাঁথির সাংসদ, তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী আর কাঁথি পুরসভার বর্তমান প্রশাসক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন সৌম্যেন্দু অধিকারী। তাঁরা কোন দিকে যাবেন, তা নিয়েই ছিল সংশয়।

শুভেন্দু যখন পরিবারের রাজনৈতিক নিউক্লিয়াস
শুভেন্দু এই পরিবারের রাজনৈতিক নিউক্লিয়াস ছিলেন। তিনি এখন বিজেপিতে। ফলে অন্যরা বিজেপিমুখী হবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেই মতোই সৌম্যেন্দু বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। তবে দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকছেন বলে ফলাও করে জানিয়েছিলেন। এদিনও তৃণমূলের কর্মসূচি নিয়ে দাদা শুভেন্দুকে জবাব দিয়েছেন। শিশির অধিকারী এখন অসুস্থ। ফলে তাঁকে কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যাচ্ছে না।

সৌম্যেন্দুকে প্রশাসক পদ থেকে সরাল রাজ্য
এদিন সৌম্যেন্দুকে প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর কার্যত তাঁর পথ পরিষ্কার হয়ে গেল। তিনি এবার মেজদা শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপি করতে পারেনষ আর কোনও বাধা রইল না। এখন শিশির অধিকারী আর তাঁর সেজ ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী কী অবস্থান নেন এবং দল তাঁদের কী চোখে দেখেন তার উপরই নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ।
শুভেন্দু তৃণমূলের পাঁচিলে বসে থাকা নেতা! ধনেখালির সভা থেকে বিস্ফোরক সৌমিত্র-জায়া