বাবুলকে সতর্ক করল বিজেপি! ফের জিতেন্দ্রকে নিয়ে শুরু কানাঘুষো
নিজে যতই বলুন না কেন তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন, সেই পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (jitendra tiwari) নিয়ে জল্পনা এখনও থেমে যায়নি। তাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির বৈঠক পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। সেই বৈঠকে ডেকে বাবুল সুপ্রিয়কে (babul supriyo) সতর্ক পর্যন্ত করা হয়েছে, সূত্রের খবর এমনটাই।

বিদ্রোহ ঘোষণা জিতেন্দ্র তিওয়ারির
প্রথমে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা, তারপেই ১৬ ডিসেম্বর সন্ধের বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এরপর পরের দিন অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর পুরপ্রশাসকের পদ ছাড়েন তিনি। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাণ্ডবেশ্বরে তাঁর বিধায়ক কার্যালয়ে হামলা চলে। যা নিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি অভিযোগ করেন, কলকাতার নেতাদের অঙ্গুলি হেলনেই তাঁর ওপরে হামলা হয়েছে। এরপরেই তিনি দলীয় সদস্যপদ এবং পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতির পদে ইস্তফা দেন। তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে শুভেন্দু অধিকারীই বড় নেতা বলে মন্তব্য শোনা গিয়েছিল তার মুখ থেকে।

জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল বিজেপির একাংশ
জিতেন্দ্র তিওয়ারির পদত্যাগের পরেই, তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় সুর চড়িয়েছিলেন সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পাল। সুর চড়িয়েছিলেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে তিনি বলেন. দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেমেব তা আলাদ বিষয়। কিন্তু তিনি সর্বোতভাবে চেষ্টা করবেন, আসানসোলে তাঁর সহকর্মীদের ওপরে যাঁরা অত্যাচার করেছেন, তাঁদের যেন কেউ বিজেপিতে জায়গা না পান। যদিও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, অন্য দল থেকে যাঁরাই বিজেপিতে যএাগ দিতে চাইবেন, তাঁদেরই দলে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কিন্তু ফের তৃণমূলেই ফিরে যান তিনি
যদিও, ১৭ ডিসেম্বর দল ছেড়ে পরের দিন অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর তিনি তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরে তিনি জানিয়েদেন, তৃণমূলেই থাকছেন তিনি।

সায়ন্তন বসু ও অগ্নিমিত্রা পালকে শোকজ
এরপরেই বিজেপির তরফে সায়ন্তন বসু এবং অগ্নিমিত্রা পালকে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য রাখার জন্য শোকজ করা হয়। নোটিশে বলা হয় বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে যে বক্তব্য তাঁরা রেখেছেন, তা অবমাননাকর এবং দলের সিদ্ধান্তের বিরোধী। যা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, সংবাদমাধ্যমে তাঁদের বক্তব্য দলের শৃঙ্খলা বিরোধী হওয়ায়, দল তাঁদের সতর্ক করেছে।

দলীয় বৈঠকে সতর্কিত বাবুল
তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ইস্যু যে বিজেপি একেবারে সরিয়ে রাখেনি তা বোঝা যায় সোমবার রাতে। বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠকের জন্য বাইপাসের ধারে এক পাঁচতারা হোটেলে বৈঠকে বসেন, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। ছিলেন সংগঠনের নেতা শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন এবং কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও। এই বৈঠকে যেমন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে সিএএ বক্তব্য রাখার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়, ঠিক তেমনই বাবুল সুপ্রিকে প্রশ্ন করা হয়, জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে তাঁর বিরোধিতার কারণ কী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠকে বাবুল সুপ্রিয়কে সতর্ক করা হয়। বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত কিছু বলা যাবে না।
মুকুল বিনা প্রথম রাজ্যের ভোটে নামছেন মমতা, পিকে কি পারবেন সাফল্য দিতে