জননেতা হয়েও কেন নিজের দল গড়লেন না, বিজেপিতে যোগদানে আসল কারণ খোলসা করলেন শুভেন্দু
গণ আন্দোলন করে রাজনীতিতে উঠে এসেছেন তিনি। নন্দীগ্রামের আন্দোলন তাঁর দমেই করতে পেরেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু নিজেই সেই দাবি করে থাকেন। জন নেতা হয়েও তাহলে কেন নিজের পৃথক দল গড়লেন না শুভেন্দু। এই নিয়ে কম জল্পনা হয়নি। খড়দহের সভা থেকে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন শুভেন্দু। তৃণমূলকে তাড়াবেন বলেই তিনি নিজের দল গড়েননি এমনই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা। তিনি নিজে যদি আলাদা দল করে ভোেট লড়তেন তাহলে তৃণমূল অনায়াসে সরকার গড়ত। কারণ বিজেপির ভোট কেটে নিয়ে যেত তাঁর দল।

কেন নিজের দল নয়
জন নেতা তিনি। তার পরেও নিজের দল না গড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে সেই কৌতুহলের অবসান ঘটালেন শুভেন্দু অধিকারী। খড়দহের সভা থেকে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের আসল কারণ খোলসা করলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন তৃণমূলকে উৎখাত করতেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আলাদা দল গড়তে বিজেপির ভোট কেটে নিয়ে যেতেন তিনি। এতে সুবিধা হত তৃণমূলেরই কিন্তু সেটা তিনি হতে দিতে চান না। সেকারণেই দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত।

শুভেন্দু দল গড়লে সুবিধা হত তৃণমূলের
নন্দীগ্রাম আন্দোলন থেকে মেদিনীপুর সবটাই একা হাতে সামলে চলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী বা অধিকারী পরিবার। কিন্তু হঠাৎ করে সুর বদলাতে শুরু করেন শুভেন্দু। পুজোর আগে থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েিছলেন তিনি। তারপরেই একের পর এক অরাজনৈতিক ব্যানারে সভা করতে শুরু করেন। সব সভার আয়োজক ছিল দাদার অনুগামী। রাজ্যের একাধিক জায়গায় দাদার অনুগামী নাম দিয়ে শুভেন্দুর পোস্টার পড়তে শুরু করে। পুরুলিয়ায় দফতর খুলে ফেলেছিল দাদার অনুগামীরা। তার পরেই শুভেন্দুর রাজনৈতিক পালাবদলের জল্পনা শুরু হয়। শুভেন্দু দল ছাড়ছেন সেটা আঁচ করতে পেরেছিল তৃণমূল। অনেকেই ভেবেছিলেন নিজের দল গড়বেন শুভেন্দু। তাতে উল্টে লাভ হল শাসক দলের। বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক অনেকটাই ধাক্কা খেত তাতে। কিন্তু তৃণমূলের সেই ভাবনায় একেবারে জল ঢেলে দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন অধিকারী গড়ের রাজপুত্র।

পিসি-ভাইপোর সরকার আর চলবে না
এদিন খড়দহের সভা থেকে নিজের বিজেপিতে যোগদানের কারণ খোলসা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন পিসি-ভাইপোর সরকার আর থাকবে না বাংলায়। বুয়া ভাতিজার সরকারকে উৎখাত করতেই ময়দানে নেমেছেন তিনি। অর্থাৎ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। গোটা বাংলাকে নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিেত হবে তবেই বাংলার উন্নয়ন হবে। দিল্লি আর বাংলায় এক সরকার থাকলে তবেই রাজ্যের উন্নয়ন হবে বলে খড়দহের সভা থেকে হুঙ্কার দিয়েছেন শুভেন্দু।

পুলিশকে হুঁশিয়ারি
মণীশ শুক্লা হত্যার পর বিজেপির মহিলা মোর্চার মিছিলে যেভাবে পুলিশ হামলা চালিয়েছিল তার তীব্র নিন্দা করে শুভেন্দু বলেছেন, যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা ক্যাসেটে তুলে রাখুন। মে মাসে বিজেপি সরকার গড়লে ব্যারাকপুর কমিশনারেটে সেই ক্যাসেট চলবে আর তার পর নিউটনের গতিসূত্রের প্রতিক্রিয়া হবে। নন্দীগ্রামে যেমন সিপিএমের হার্মাদরা হামলা চালিয়েছিল পুলিসের বেশে হাওয়াই চটি পরে। তেমনই ব্যারাকপুরেও মহিলা মোর্চার নেত্রী ও কর্মীদের উপর তৃণমূলের হার্মাদরা লাঠি চালিয়েছিল বলে হুঙ্কার দিয়েছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর পরিবারের আরও এক সদস্যের তৃণমূল-যোগ ছিন্ন, অধিকারী-গড়ে গেরুয়া প্রভাব