শুভেন্দু এবার হাত বাড়ালেন বড় নামের দিকে! ৯ বিধায়কের পর এবার কোন মন্ত্রীরা টার্গেট
শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘ টালবাহানার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন ৯ জন বিধায়ক ও প্রাক্তন-বর্তমান দুজন সাংসদকে। এছাড়া আরও বেশি কিছু পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধি নেতা-নেত্রী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু শুভেন্দুর সঙ্গে খুব বড় নাম কেউ ছিলেন না। এবার সেই বড় নামের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

রাজীব আহ্বান জানালেন তৃণমূলের মন্ত্রীদের
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন। অন্য নেতাদের এখনও সেভাবে সামনের সারিতে দেখা যায়নি। এরই মধ্যে শুভেন্দুর অধিকারী তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মন্ত্রীদের থাকা উচিত বলে মন্তব্য করলেন। রাজীবের সঙ্গে জুড়লেন সাধন পান্ডের নামও।

শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্য মঞ্চে যাঁদের নাম নিলেন
অর্থাৎ তৃণমূলে এই মুহূর্তে বিদ্রোহী যাঁরা তাঁদের মধ্যে রাজবী বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডে অগ্রগন্য। তাঁরা মাঝেমধ্যেই বিতর্ক বাড়াচ্ছেন নানা মন্তব্যে। এবার শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তাঁদের নাম করে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন। তিনি ২০২১-এর লড়াইয়ে গ্রামের সঙ্গে্ শহরের লড়াই বলে তকমা দিয়ে নিশানা করেন দক্ষিণ কলকাতাকে।

রাজীবের সঙ্গে তাঁর গোপন বৈঠকের গুঞ্জনও ছিল
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে রাজীবের সঙ্গে তাঁর গোপন বৈঠক হয়েছিল বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। শুভেন্দু কলকাতায় আসার পথে কোলাঘাটে গোপন বৈঠক করেছিলেন বলে রটনা হয়। যদিও রাজীব বারবার বারবার বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর বিষয়টি কেউ এক করবেন না। প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা ফ্যাক্টর রয়েছে।

গ্রামের লড়াইয়ে পুরাতন কলকাতা আর প্রাচীন হাওড়া!
এদিন সেই রাজীবকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন, ৪০টা মন্ত্রী ১৮ জনের বাড়ি দক্ষিণ কলকাতায়। দক্ষিণ কলকাতার গুটিকয় লোকের বিরুদ্ধে এই লড়াই গ্রামের লড়াই, জেলার লড়াই। উত্তর কলকাতাকে বলব পুরাতন কলকাতাকে বলব, সঙ্গ দিন। আপনার জেলা বাটখারা মন্ত্রী পেয়েছে। আর হাওড়াকে বলব পাঁচশো বছরের প্রাচীন শহর, সঙ্গ দিন।

রাজীবের নাম নিয়ে কী বার্তা দিতে চাইলেন শুভেন্দু
এরপর জেলার মন্ত্রীদের বঞ্চনার প্রসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেন শুভেন্দু। শুভেন্দু বলেন, আমি কোনও দিনও শুনিনি অনগ্রসর দফতরের মন্ত্রী কখনও সম্প্রদায়ের বাইরের লোক হয়। মাঝখানে অনগ্রসর দফতরের মন্ত্রী করার হয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এভাবে রাজীবের নাম নিয়ে তিনি কী বার্তা দিতে চাইলেন তা অনেকটাই স্পষ্ট রাজনৈতিক মহলে।

শুভেন্দুকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল ভাঙাতে চাইছে বিজেপি
উল্লেখ্য, শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনার মধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও বেসুরো গাইতে শুরু করেছিলেন। তাঁদের উভয়ের নামে পোস্টার পড়েছিল বিভিন্ন জেলায়। সেই রাজীবের নাম নেওয়া, সাধন পান্ডেকে বাটখারা মন্ত্রী বলে উসকে দেওয়ার মধ্যে সেই ভাঙন ধরানোর প্রবণতাই রয়েছে। অর্থাৎ বিজেপি শুভেন্দুকে কাজে লাগিয়ে আরও তৃণমূল ভাঙাতে চাইছে একুশের আগে।
মানুষের প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছেন মমতা, তাই নন্দীগ্রামের সভা বাতিল, পাল্টা কটাক্ষ দিলীপের