লন্ডন : বড় খবর। মাস ভ্যাকসিনেশনের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে অনুমতি দিতে পারে ব্রিটেন। চলতি সপ্তাহেই এই অনুমোদন মিলতে পারে বলে খবর। অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান জানিয়েছেন এই ভ্যাকসিন পিফিজার-বায়োএনটেক এবং মডার্না ভ্যাকসিনের সমতুল্য।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার চিফ এগজিকিউটিভ পাসকাল সোরিয়ট সানডে টাইমসকে জানান, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ দেওয়া হবে। তিনি আশাপ্রকাশ করেন ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধেও সমানভাবে কার্যকরী হবে তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন। তবে এই বিষয়ে এখনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই এই নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে ঠিক কতটা কার্যকরী হবে এই ভ্যাকসিন, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
যদি ব্রিটেন এই ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দেয়, তবে তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হবে। ডিসেম্বর মাসে আপদকালীন সংকটের জন্য অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার ভাবনা চিন্তা শুরু করে ভারত। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানায়, গোটা বিশ্বে ভারতই প্রথম দেশ, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিতে পারে। তবে তা জরুরি অবস্থার জন্য প্রযোজ্য বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। আগামী মাস অর্থাৎ জানুয়ারি থেকেই ভ্যাকসিনেশনের কাজ শুরু করতে চলেছে কেন্দ্র। এজন্য বেছে নেওয়া হয়েছে পিফিজার আইএনসির ভ্যাকসিন, যার দেশীয় নির্মাতা ভারত বায়োটেক। কোভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক।
এই সংস্থার সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগে কাজ করছে আইসিএমআর। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন বেশ কার্যকরী ফল দিচ্ছে ট্রায়ালে। ফলে এই ভ্যাকসিনের উপযোগিতা নিয়ে বেশ আশাবাদী তাঁরা।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড মানব শরীরে ৯০ শতাংশ কার্যকরী প্রমাণিত হবে। যতগুলি ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বে কাজ হচ্ছে, তার মধ্যে অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনটি সবথেকে বেশি কার্য়করী ও নিরাপদ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতে কাজ করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম জানিয়েছে ভ্যাকসিনেশনের জন্য তাঁরা প্রস্তুত। প্রাথমিকভাবে তাঁদের হাতে ৫০ থেকে ৬০ মিলিয়ন ডোজ পৌঁছবে।
এদিকে, রবিবার থেকেই ইউরোপের একাধিক দেশ করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে। ইতালি এই দেশগুলির মধ্যে প্রথম, যারা মাস ভ্যাকসিনেশনের কাজ শুরু করে। একজন নার্স, একজন চিকিৎসক ও একজন অধ্যাপক এই ভ্যাকসিন নেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.