সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির আজ জন্মদিন। অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়াও অন্য দফতরের দায়িত্ব সামলাতে হয়েছে তাঁকে। জরুরি অবস্থার সময় যেতে হয়েছিল জেলে। ক্রিকেটের সঙ্গেও তাঁর ছিল নিবিড় যোগাযোগ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য।
১)১৯৫২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অরুণ জেটলি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মে তার সঙ্গে সঙ্গীতা জেটলির বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তান হলেন – পুত্র রোহন এবং কন্যা সোনালী।
২) অরুণ জেটলি দিল্লির সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্র ছিলেন ১৯৬০-৬০ সালে।
৩) অরুণ জেটলি শ্রীরাম কলেজ অফ কমার্স থেকে স্নাতক এবং পরে দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাস করেন।
৪) অরুণ জেটলি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদে ছিলেন। যেমন-অর্থমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, আইনমন্ত্রী
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা প্রভৃতি।
৫) জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-৭৭) গ্রেফতার হয়ে তাঁকে ১৯ মাস জেলে থাকতে হয়েছিল।
৬) অরুণ জেটলি জন সংঘে যোগ দেন এবং তারপর দিল্লির এবিভিপি সভাপতি হয়েছিলেন ও সর্বভারতীয় সম্পাদক হন এবিভিপি-র।
৭) ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় তিনি ছিলেন বিজেপির প্রধান স্ট্র্যাটেজি প্ল্যানার। ওই নির্বাচনে বিজেপি খুব ভালো ফল করে।
৮) ক্রিকেটের প্রতি তার প্রবল আকর্ষণ ছিল। তিনি ডিডিসিএ-র সভাপতি এবং বিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি হয়েছিলেন।
৯)১৯৯৮ সালে জুন মাসে অরুণ জেটলি ভারতের প্রতিনিধি হয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে অধিবেশনে যোগদান করেছিলেন। সেবার সেখানে ড্রাগ এবং অর্থ পাচার আইন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়েছিল।
১০) অরুণ জেটলি মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে রয়েছে-নোট বন্দি, জিএসটি চালু ইত্যাদি।
১১) অরুণ জেটলির সুপারভিশনে মোদী সরকার সাধারণ বাজেটের সঙ্গে রেল বাজেটকে মিশিয়ে দেয়।
১২) কোম্পানির ইস্যু মাথায় রেখে ইনসলভেন্সি এন্ড ব্যাংকরাপ্সি কোড আনা হয়েছিল তাঁর সময়।
১৩) ১৯৯০ সালে তিনি দিল্লি হাইকোর্টে সিনিয়র এডভোকেট হন। তিনি অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল হয়েছিলেন।
১৪) তাঁর উদ্যোগে গঠিত হয়েছিল অ্যাডভোকেট ওয়েলফেয়ার ফান্ড এবং ইনভেস্টর প্রোটেকশন ফান্ড।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.