মুকুলেই রক্ষে নেই, শুভেন্দু দোসর! প্রশান্ত কিশোরকে এনেও তৃণমূল কাঁপছে একুশে
একা মুকুল রায় ২০১৯-এ তৃণমূলকে ভেঙে ছারখার করে দিয়েছিলেন। তখন শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ৪২-এ ৪২-এর আওয়াজ তুলেছিলেন তিনি। এবার একুশের লড়াইয়ে শুভেন্দুকে ছিনিয়ে নিয়েছেন মুকুল রায়। এবার এই জোড়া ফলাকে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা রুখতে পারবেন, নাকি ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে তৃণমূল?

মুকুলের পাশাপাশি বিজেপি পেয়ে গিয়েছে শুভেন্দুকে
একুশের যুদ্ধ জয়ে বিজেপির লক্ষ্য তৃণমূলে ভাঙন। একমাত্র তৃণমূল ভাঙিয়েই তারা লক্ষ্য হাসিল করতে পারে। কেননা এখনও রাজ্যের ৭৮ হাজার বুথে তাঁরা সংগঠন গড়ে তুলতে পারেনি। সব বুথ কমিটি গড়ে তুলতে পারেনি। তাই তৃণমূলকে ভাঙা ছাড়া তাদের রাস্তা নেই। আর সেই কাজে এবার তাঁরা মুকুলের পাশাপাশি পেয়ে গিয়েছে শুভেন্দুকে।

২০১৯-এ যেভাবে বিজেপি ভোটে লড়েছিল, ২০২১-এও!
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল ভেঙে তাঁর সঙ্গে পদ্মশিবিরে নিয়ে গিয়েছেন অনেককেই। ভেঙেছেন সিপিএম-কংগ্রেসও। এবার তিনি তৃণমূলের মন্ত্রীদের দিকে হাত বাড়িয়েছেন। অর্থাৎ তৃণমূল ভাঙার চেষ্টা যে চলবে একুশ পর্যন্ত, তা পরিষ্কার। ২০১৯-এ যেভাবে বিজেপি ভোটে লড়েছিল ২০২১-এও সেভাবে বিজেপি তৃণমূলের চ্যালেঞ্জের হয়ে উঠবে।

তৃণমূলকে দিয়ে তৃণমূলকে হারাতে মুকুলের দোসর শুভেন্দু
বিজেপির পরিকল্পনা তৃণমূলকে দিয়ে তৃণমূলকে হারানো। সেই কাজ করে দেখিয়েছেন মুকুল রায়। এবার তাঁর সেই কাজে দোসর পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। মমতার তৃণমূলে যাঁরা ছিলেন প্রথম সারির নেতা, এমন দুজন এবার বিজেপিকে জেতাতে কাজ করবেন। কাজ করবেন তৃণমূলের ঘর ভাঙতে। এই কাজ বিজেপিতে যোগ দিয়েই শুরু করে দিয়েছেন শুভেন্দু।

একুশের আগে বড় নামের দিকেই হাত বাড়ালেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে বিজেপিতে দিয়েছেন ৯ জন বিধায়ক ও প্রাক্তন-বর্তমান দুজন সাংসদ। এছাড়া আরও বেশ কিছু পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধি নেতা-নেত্রীও যোগ দিয়েছেন। কিন্তু শুভেন্দুর সঙ্গে সে অর্থে খুব বড় নাম কেউ ছিলেন না। এবার সেই বড় নামের দিকেই হাত বাড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মন্ত্রীদের থাকা উচিত বলে মন্তব্য করলেন। রাজীবের সঙ্গে জুড়ে দিলেন সাধন পান্ডের নামও।

তৃণমূলকে ভাঙিয়ে বিজেপিতে শক্তি প্রদর্শন শুভেন্দুর
তৃণমূলে এই দুই মন্ত্রী বহুদিন ধরেই বেসুরো বাজছেন। বেসুরো বাজছেন অনেক বিধায়কও। শুভেন্দু ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে অভিষেককে জবাব দেবেন বলেছেন। সেখানেও কয়েকজন তৃণমূলের বিধায়ক বেঁকে বসে আছেন। তবে কি তাঁরাও এবার শুভেন্দুর সহযোগী হবেন? মোট কথা শুভেন্দু এখন চাইছেন তৃণমূলকে ভাঙিয়ে এনে বিজেপিতে নিজের শক্তির প্রদর্শন করতে।

প্রশান্ত কিশোরের কৌশলই ভরসা মমতার দলের
মমতার দলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরও তৃণমূল আরও ভাঙতে পারে বলে মনে করছেন। সেইমতোই তিনি অঙ্ক কষছেন। অভিযেকও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যাঁরা যেতে চান, তাঁরা চলে যেতে পারেন। আমাদের দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। মমতা অবশ্য এ ব্যাপারে নমনীয়, চাইছেন পুরনো সঙ্গীদের রেখেই ঘূঁটি সাজাতে। যাঁরা একেবারেই থাকতে চান না, তাঁদের আর কী করে রাখবেন! অগত্যা শুধু প্রশান্ত কিশোরের কৌশলই ভরসা।
সারদাকাণ্ডে ফের সিবিআই তৎপরতা, সুপ্রিমকোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ তদন্তকারীদের