কৃষক আন্দোলন পরিণত হল পাঞ্জাব বনাম হরিয়ানা সংঘাতে! অলআউট আক্রমণে কংগ্রেস
কৃষক আন্দোলনে বারংবার 'আক্রান্ত' হয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। এর আগে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর উপর 'হামলা'র অভিযোগ উঠেছিল। কৃষি আইনের বিরোধিতা করা কৃষকরা খট্টরের কনভয়ে নাকি 'হামলা' চালিয়েছিল। এবার চণ্ডিগড়ে খট্টরের বাসভবনের কাছেই পাঞ্জাব কংগ্রেসের সেবাদল অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে।

কৃষক আন্দোলনকে কাজে লাগাতে চায় কংগ্রেস
এদিকে কংগ্রেসের ১৩৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস আজ। আর এই উপলক্ষে কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই দলকে আরও শক্তিশালী করে তোলার রূপরেখা তৈরি করে কংগ্রেস হাইকমান্ড। এর লক্ষ্যে কংগ্রেসের রাজ্য ইউনিটগুলিকে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে তিরঙ্গা যাত্রা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি যুব সমাজকে কংগ্রেসের সঙ্গে আরও একাত্ম করার জন্যেও বলা হয়েছিল দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীদের।

নয়া কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্র-কৃষক অচলাবস্থা অব্যাহত
এদিকে নয়া কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্র-কৃষক অচলাবস্থা অব্যাহত। এরই মধ্যে সোমবার ৩৩তম দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন৷ বর্তমান তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে দিল্লি-সহ দেশের উত্তর প্রান্তে৷ এই অবস্থায় গাজিপুর সীমান্তে আন্দলনরত কৃষকদের দেখা গেল, শীত থেকে বাঁচতে পথের ধারে আগুন পোহাচ্ছেন৷ প্রতিকূল আবহাওয়াতেও আন্দোলনে অবিচল কৃষকরা।

অনড় অবস্থানে 'সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা'
মূলত তিনটি কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছে দেশের ৮০টি ছোটো-বড় কৃষক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ 'সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা'৷ যার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য এবং বাণিজ্য উৎপাদন আইন ২০২০, কৃষকদের ন্যূনতম মূল্যের নিশ্চয়তা ও খামার পরিষেবা সংক্রান্ত চুক্তি আইন, ২০২০ এবং জরুরি পণ্য আইন, ২০২০৷ গাজিপুর সীমান্তে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছিল গত ২৮ নভেম্বর৷ আজ যা ৩১তম দিনে পড়ল৷

ফের কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে কৃষকরা
এর মধ্যে বেশ কয়েক দফায় কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রের৷ যদিও কোনও বৈঠকেই সমাধান সূত্র মেলেনি৷ সম্প্রতি নতুন করে কেন্দ্রের ডাকে সাড়া দিয়ে সরকার পক্ষের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্দোলনরত কৃষকরা৷ আগামীকাল, ২৯ ডিসেম্বর সেই বৈঠকের হওয়ার কথা রয়েছে৷
পিকে-র বিরুদ্ধে অমিত শাহের 'আত্মঘাতী গোল'? একুশের আগে 'বেসুরো' শরিক নিয়ে চিন্তায় বিজেপি