'অক্সিজেন' পেতেই ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার, নয়া উদ্দমে মোদীর বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাচ্ছে কংগ্রেস
কংগ্রেসের ১৩৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস আজ। আর এই উপলক্ষে কৃষক আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই দলকে আরও শক্তিশালী করে তোলার রূপরেখা তৈরি করেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। এর লক্ষ্যে কংগ্রেসের রাজ্য ইউনিটগুলিকে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে তিরঙ্গা যাত্রা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যুব সমাজকে কংগ্রেসের সঙ্গে আরও একাত্ম করার জন্যেও বলা হয়েছে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের।

কেন্দ্রের ডাকে সাড়া দিয়ে বৈঠকে বসবে কেন্দ্র
এদিকে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও কেন্দ্রের ডাকে সাড়া দিয়ে নতুন কৃষি আইন নিয়ে সরকার পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিঙ্ঘু সীমান্ত আন্দোলনরত কৃষকরা৷ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে তারা৷ তবে, নতুন কৃষি আইন বাতিল ও এমএসপি-র দাবি থেকে যে তারা সরছে না, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ এর আগে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করিছিল রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে। কৃষক আন্দোলন নিয়ে পাঞ্জাবে কংগ্রেস রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা তুলতে পারবে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এই রাজনৈতিক ফায়দা গোটা দেশে তোলার লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে চাইছে কংগ্রেস।

কৃষকদের কথা শুনছে না কেন্দ্র
দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ চলছে। আর সেখান থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হল পঞ্জাবের এক আইনজীবীর দেহ। তাঁর দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পঞ্জাবের ফাজিলকা জেলার জালালাবাদের বাসিন্দা অমরজিৎ সিং-এর দেহ টিকরি সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের প্রাথমিক অনুমান। কংগ্রেসও এই একই অভিযোগ করে এসেছে যে কেন্দ্র কৃষকদের কথা শুনছে না। অধীর চৌধুরী বারবার মোদীকে দিল্লি সীমানায় এসে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

তিনটি 'কালো' আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
অমরজিতের দেহের পাশে যে নোটটি পাওয়া গিয়েছে সেখানে লেখা রয়েছে, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনের সমর্থনে 'নিজের জীবন উৎসর্গ করছেন' যাতে সরকার জনগণের কথা শুনতে বাধ্য হয়। সেখানে আরও লেখা রয়েছে, এই তিনটি 'কালো' আইনের দ্বারা তাঁরা প্রতারিত হচ্ছে বলে মনে করছেন কৃষকরা।

কেন্দ্রকে আরও চাপে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস
মৃত্যুবরণের আগে নিজের চিঠিতে মানুষের কথা শোনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদনও জানিয়ে গিয়েছেন সেই আইনজীবী। এর আগে ৬৫ বছর বয়সি শিখ ধর্মপ্রচারক সন্তরাম সিং চলতি মাসের শুরুর দিকে সিঙ্ঘু সীমান্তে আত্মহত্যা করেছিলেন। 'কৃষকদের কষ্ট সহ্য করতে পারছেন না' বলে মৃত্যুর আগে দাবি করেছিলেন তিনি। এদিকে এই আত্মহত্যগুলি কেন্দ্রকে চাপে রেখেছে। সেই চাপকেই কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস।