তৃণমূলে এখনও আছে উপসর্গহীন বেইমান! পিকের রিপোর্টই ধ্বনিত অভিষেকের কণ্ঠে
শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাধিক নেতা-বিধায়ক একুশের আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ভোট যত এগিয়ে আসবে, আরও নেতা-নেত্রীরা যে তৃণমূল ছাড়বেন, সেই আভাস দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোরও। এবার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইঙ্গিত করলেন তেমনটাই। ডায়মন্ড হারবারের মঞ্চ থেকে তিনি গর্জে উঠলেন আবার।

উপসর্গহীন বেইমান বলে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক
অভিষেক ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে বলেন, তৃণমূলে এখনও উপসর্গহীন বেইমান রয়েছে। যাঁরা তৃণমূলে আছেন, কিন্তু কাজ করছেন বিজেপির হয়ে। তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তাঁদেরকেই উপসর্গহীন বেইমান বলে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। সেইসঙ্গে ঘুরিয়ে শুভেন্দুকেও উপসর্গহীন বেইমান বলে অভিহিত করেছেন।

শুভেন্দু তৃণমূলে থেকে বেইমানি করেছেন দলের সঙ্গে
শুভেন্দু বিগত তিন-চার বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন, সামনে এসেছে সেই তথ্য। এমনকী মুকুল রায়ও তাঁদের গোপন যোগাযোগের কথা ফলাও করে প্রকাশ্যে এনেছেন। আবার মুকুল অনুগামী সাংসদ সৌমিত্র খান জানিয়েছেন, তাঁর জয়ের নেপথ্যে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এইসব কথাতেই স্পষ্ট শুভেন্দু তৃণমূলে থেকে বেইমানি করেছেন দলের সঙ্গে।

মমতা যতক্ষণ আছেন, ততক্ষণ বিপক্ষের বুকটা দুরুদুরু
অভিষেক এদিন বলেন, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, ততদিন কে এল, কে গেল তাতে কিছু এসে যায় না। এখনও যাঁরা যাবেন মনে করছেন, তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে দিতে পারেন। যিনি বিজেপিতে যেতে চান, চলে যান। তৃণমূলের কিছু এসে যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতক্ষণ আছেন, ততক্ষণ বিপক্ষের বুকটা দুরুদুরু করবে।

অভিষেকের উপসর্গহীন বেইমান তত্ত্ব, সৌজন্যে প্রশান্ত কিশোর
প্রশান্ত কিশোর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তৃণমূলের আরও কয়েকজন নেতা দল ছাড়বেন, সেই অঙ্ক কষেই তিনি বলেছেন বিজেপি ৯৯-এ আটকে যাবে। অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরের টিম যে সমীক্ষা তুলে আনছে, তাতে এটাও রয়েছে যে, তৃণমূল ছাড়তে পারেন কেউ কেউ। শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সেই রিপোর্ট এসেছে বলেই অভিষেক এই উপসর্গহীন বেইমান তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন।

তৃণমূলে থেকে বিজেপি করা হয়ে উঠছে না উপসর্গহীন বেইমানদের
এখনই নয়, ২০১৯ কিংবা তার আগে থেকেই একটা কথা রাজনৈতিক মহলে ঘোরাফেরা করছিল যে, দিনে তৃণমূল রাতে বিজেপি। প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিমের সৌজন্যে অনেকেরই সেই দ্বাত ভূমিকায় থাকা সম্ভব হচ্ছে না। অনেককেই ভেক ছেড়ে পথ বেছে নিতে হচ্ছে। ফলে বিজেপিতে যোগ দিতে হচ্ছে তাঁদের, তৃণমূলে থেকে বিজেপি করা হয়ে উঠছে না।
বিজেপিতে পদ পেলেন শোভন ও বৈশাখী! ২০২১-এর আগে কি তবে সব জল্পনার অবসান