স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: বিশ্বভারতী জমি বিতর্কে এবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলপন্থী বুদ্ধিজীবী,কবি-সাহিত্যিকরা। রবিবার বিকেল নাগাদ বাংলা একাডেমির সামনে প্রতিবাদ সভা করলেন তাঁরা।

শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ি ‘প্রতীচী’ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষর মন্তব্যে তৈরি হওয়া বিতর্কে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাশে থেকেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে তৃণমূল।শুক্রবারই পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ‘শ্রদ্ধেয় অমর্ত্যদা’-কে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার তৃণমূল দলের তরফেও অমর্ত্যর পাশে থেকে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া হয়েছে। অমর্ত্যকে ‘অপমানের’ প্রতিবাদে আজ, রবিবার কলকাতার রাজপথে নামল নাগরিক সমাজের একাংশ।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকার বার্তা নিয়ে এদিন প্রতিবাদ সভায় হাজির ছিলেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন, যোগেন চৌধুরী থেকে শুরু করে সুবোধ সরকার, জয় গোস্বামী, কবীর সুমন, ব্রাত্য বসু সহ একাধিক বুদ্ধিজীবীরা।

প্রতিবাদ সভার শুরুতেই এদিন বক্তব্য রাখেন কবীর সুমন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এর বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর এই পদক্ষেপকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন তিনি।

তিনি বলেন ” বিজেপির সম্পর্কে কথা বলা মানে বাবলা গাছকে আলিঙ্গন করার মত। যারা আজ অমর্ত্য সেন নিয়ে বলছেন তাদের তো অমর্ত্য বাবু নিয়ে রাগ হবেই। বাঙালিকে ওরা রাগিয়ে দিচ্ছে।”

মন্ত্রিসভার সদস্য ব্রাত্য বসু বলেন ” এই সরকার যারা গলা তুলেছে তাদেরকে আটকানোর চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষের কি হাল করতে পারে এই সরকার তা এই দেখেই বোঝা যায়।”

বিশ্বভারতী অধ্যাপক তথা চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী। বিশ্বভারতীর ভূমিকাকে তিনি কঠোরভাবেই সমালোচনা করেন রবিবারের প্রতিবাদ সভা থেকে। তিনি বলেন ” অমর্ত্য সেন যাকে ভারত সরকার ভারতরত্ন দিয়েছে তার সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা লজ্জাজনক। আমি মনে করি বিশ্বভারতীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন বলেন, ” আমরা রাজনীতি করতে আসিনি। বেঁচে থাকার পিছনে যে সমস্ত মনীষীদের অবদান আছে তাদের অপমান করা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের যারা সঙ্গে ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ক্ষিতিমোহন সেন। নোবেল যারা পেয়েছিলেন তাদের জন্য আমরা গর্বিত। এখানে আঘাত দেওয়া মানে বাঙালির আবেগকে আঘাত করা। আগামী দিনে রবীন্দ্রনাথকেই তারা উঠিয়ে দেবে।”

প্রতিবাদ সমাবেশে সামিল ছিলেন কবি জয় গোস্বামীও। তিনি বলেন “অমর্ত্য সেন শান্তিনিকেতনে আছেন এটা আমাদের সৌভাগ্য। বিশ্বভারতী যেটা করেছে আমরা সেটা ধিক্কার জানাই। বিজেপির সরকারি ইন্দোর না থাকলে অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হতো না।”

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’-র মধ্যে বিশ্বভারতীর নিজস্ব জমি ঢুকে গিয়েছে। রজতকান্ত রায় উপাচার্যের দায়িত্বভার সামলানোর সময় মৌখিকভাবে বিষয়টি অমর্ত্যবাবুকে একাধিকবার জানিয়েছিলেন। কিন্তু অমর্ত্যবাবু তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বলে বিশ্বভারতীর তরফে দাবি করা হয়।

সেই বিতর্কের মধ্যে অমর্ত্যবাবু জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদি লিজে ‘প্রতীচী’-র জমি নেওয়া হয়েছিল। তার মেয়াদ এখনও আছে।অমর্ত্যবাবু জানান, প্রায় ৮০ বছর আগে বাড়ি তৈরি করা হলেও এতদিন কোনও অভিযোগ করা হয়নি। কিন্তু আচমকা সে বিষয়ে মুখ খোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সহানুভূতি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন, তাতে দুঃখ করার কিছু নেই। কিন্তু হঠাৎ বিশ্বভারতী থেকে এরকমভাবে মিথ্যে কথা বলা শুরু করল কেন, সেটার বোধহয় রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।