হাওড়া: কোভিড বিধি মেনে প্রায় নয় মাস পর অবশেষে রবিবার ২৭ ডিসেম্বর থেকে খুলছে হাওড়ার রেল মিউজিয়াম। শনিবার পূর্ব রেল সূত্রে খবর ছিল, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এই রেল মিউজিয়াম ( রেল জাদুঘর ) সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে আগামী রবিবার থেকে। শর্ত অবশ্য একটাই মিউজিয়ামে প্রবেশের আগে কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
হাওড়া স্টেশন লাগোয়া রিজিওনাল রেল মিউজিয়ামটি দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য অন্যতম একটি আকর্ষণ কেন্দ্র। সারা বছরই বহু পর্যটক ভারতবর্ষের মাটিতে রেলের ইতিহাস জানতে এখানে ভিড় জমান। কিন্তু গত মার্চ মাসে দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে যাবার ফলে রেল মন্ত্রকের নির্দেশে লকডাউনের সময় থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় রেল মিউজিয়াম। সেই থেকে টানা নয় মাস বন্ধ ছিল এই রেল মিউজিয়াম।
পূর্ব ভারতের রেল চলাচল সম্পর্কে যাবতীয় উন্নয়ন ও বিবর্তনের তথ্য এখানে রয়েছে। এছাড়াও দেড়শ বছরের পুরনো বাষ্পীয় ইঞ্জিন, ভিন্টেজ কামরা রয়েছে এখানে। রয়েছে ট্রেন চলাচলের পুরানো লন্ঠন সিগন্যাল, টেলিফোন, যন্ত্রাংশ সহ আরও অনেক কিছু। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে পর্যটকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে তারা যেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করেন। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব যেন বজায় রেখে চলেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ৯ মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার খুলছে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এই রিজিওনাল রেল মিউজিয়াম। পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে রেলপথের বিস্তার সংক্রান্ত তথ্য এবং ঐতিহাসিক উপকরণ রয়েছে এখানে। আপাতত প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত খোলা থাকবে রেল মিউজিয়াম। দর্শকদের দূরত্ব বৃদ্ধি মানতে হবে এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে চার একর জমিতে গড়ে ওঠা এই মিউজিয়ামে রয়েছে পূর্ব ভারতের রেলের বিবর্তন সংক্রান্ত নথি। সুন্দরভাবে সাজানো রেলের এই মিউজিয়াম ঘুরলে পূর্ব ভারতে রেলের অগ্রগতি চাক্ষুষ করা যায়। এখানে রয়েছে দেড়শ বছরের পুরনো বাষ্পচালিত ইঞ্জিন। এছাড়া প্রাচীনকালের লন্ঠন সিগন্যাল, টেলিফোন এবং নানান যন্ত্রাংশ-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক রেলওয়ের যন্ত্রাংশ। হাওড়া স্টেশনের আদলে তৈরি বিল্ডিং এবং হল অব ফেমের ভিতরে পর্যটকদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে রেলের তরফে।
পূর্ব ভারতের রেলের ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস জানতে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে এখানে ভিড় জমান দেশের নানা প্রান্তের মানুষের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও। সারা বছর ধরেই এই রেল মিউজিয়ামে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা। গত কয়েকদিন ধরেই এখানে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জীবাণুনাশক রাসায়নিক স্প্রে করে সানিটাইজেশানের কাজ করা হচ্ছিল। অবশেষে খুলল রেল মিউজিয়াম।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.