২০২০ সালেই নয়া ইতিহাস, আমেরিকার প্রথম মহিলা উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে মসনদে কমলা হ্যারিস
নভেম্বরের শুরু সপ্তাহ। মার্কিন রাজ্য-রাজনীতির উত্থান-পতন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা গোটি বিশ্বজুড়েই। আর ঠিক তখনই পেনসেলভেনিয়ায় জেতার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টিকে হারিয়ে জয়ের রাস্তা নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন জো বাইডেন। পাকা করে ফেলেছিলেন আমেরিকার পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদ। আর সেই সঙ্গেই নয়া রেকর্ড গড়ে ফেলেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস।

২০২০ সালেই আমেরিকা পেল প্রথম মহিলা উপরাষ্ট্রপতি
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হাত ধরেই আমেরিকা পেয়ে গিয়েছিল মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে প্রথম মহিলা উপরাষ্ট্রপতি। যদিও ট্রাম্পের রিপাবলিকান শিবিরকে ধরাশায়ী করার পরেই কমলাকে বলতে শোনা যায়, " আমিই প্রথম, কিন্তু শেষ নই। এই জয় আমেরিকার প্রতিটা মানুষের। এই জয় সমগ্র লড়াকু মহিলা মহলের।" এদিকে ২০১৪ সালে আইনজীবী ডগলাস এমহফকে বিয়ে করেন কমলা হ্যারিস। যদিও তাঁর স্বামীর আগের পক্ষের দুটি সন্তান আছে বলেও শোনা যায়।

একনজরে কমলার বেড়ে ওঠা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ৫৫ বছরের কমলা আদপে আধা ভারতীয়, আধা জামাইকান। আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্টও বটে। কমলার বাবা ডোনাল্ড আমেরিকায় এসেছিলেন জামাইকা থেকে। মা শ্যামলা আমেরিকার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিলেন ভারতের তামিলনাডু থেকে। পরবর্তীতে বিয়ের পর তারা সপরিবারে আমেরিকাতেই থাকতে শুরু করেন। যদিও কমলার জন্মের পরবর্তী ডিভোর্স হয়ে যায় কমলার বাবা-মায়ের। পরবর্তীতে মায়ের সাথেই বেড়ে ওঠেন এই বর্ষীয়ান মার্কিন রাজনীতিবিদ।

শুরু থেকেই রিপাবলিকান শিবিরের নানা কটূক্তির মুখে পড়েন কমলা
এদিকে ভোট প্রচার পর্ব থেকেই রিপাবলিকান শিবিরের নানা কটূক্তির মুখে পড়েন কমলা। ইচ্ছা করেই তার নামটি ভুল উচ্চারণ করে ভাইরালও করে দেওয়া হয়। এমনকী তাঁর নামের জন্য তাঁকে ডাইনি বলে সম্বোধন করেছেন খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু হাজারো অপ্রচারের পরেও তাঁকে কিছুতেই টলাতে পারেনি ট্রাম্প। এসেছে বহু কাঙ্খিত জয়।

কমলার নির্বাচনী প্রচারে ভারতের স্মৃতিচারণা
এদিকে এবারের নির্বাচনী প্রচারেও একাধিকবার কমলার সঙ্গে রয়েছে ভারতের আত্মিক সম্পর্কের কথা ফিরে ফিরে আসে। এমনকী একাধিকবার ছেলেবেলার স্মৃতিচারণা করতে দেখা যায় আমেরিকার নতুন উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসকে। উঠে আসে তাঁর চেন্নাইয়ে কাটানো ছেলেবেলার কথা। এমনকী ভোট জেতার পরেই মায়ের কথা মনে করে আবেগতাড়িও হয়ে পড়েন কমলা।

দু-দশক ধরে মার্কিন রাজনীতিতে সক্রিয় উপস্থিতি কমলার
এদিকে গত দু দশক ধরে মার্কিন রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবেই রয়েছে তাঁর উপস্থিতি৷ নির্বাচনের আগে ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর পদে আসীন ছিলেন কমলা।এর আগে সান ফ্রান্সিস্কোয় কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। ২০১৬ সালে দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা ও প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান মহিলা হিসেবে সেনেটে নির্বাচিত হন তিনি। তারপরই তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দেন জো বাইডেন।

২০২০ সালে একাধিক সন্ত্রাসী হানায় কেঁপে উঠল ফ্রান্স! বছরভর মুসলিম বিশ্বের রোষানলে ফরাসি রাষ্ট্রপতি