দেরাদুন: বাড়ির ভিতর থেকে সাপ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। অনেক সময়ই নিজেদের আশ্রয় থেকে বেরিয়ে এরা বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে। তবে এমন একটি সাপ পাওয়া যাবে, তা ভাবেননি বন দফতরের আধিকারিকেরাও। সাপ দেখে রীতিমত চমকে গেলেন তাঁরা। বিরল নয়, একে বিরলতম বলা যেতে পারে।

শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলায় একটি বাড়িতে এই সাপটি দেখা গিয়েছে। বন দফতরের আধিকারিকেরা গিয়ে সেটিকে উদ্ধার করেন। তাঁরা জানিয়েছেন এটি বিরলতম রেড কোরাল কুকরি সাপ। নৈনিতালের বিন্দুখাট্টা এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় একে।

বন দফতরের এই অফিসারেরা জানিয়েছে ১৯৩৬-এ শেষবার উত্তরপ্রদেশে এরকম একটি সাপ দেখা গিয়েছিল। তারপরই এটির বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়। Oligodon kheriensis হল এর বৈজ্ঞানিক নাম। চলতি নামে কুকরি বলে ডাকা হয় একে। কারণ এদের দাঁত নাকি অনেকটা গোর্খাদের কুকরির মত বাঁকানো।

ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার নীতিশ মনি ত্রিপাঠী বলেন, নৈনিতালের বাসিন্দা কবিন্দ্র কোরাঙ্গা বন দফতরে ফোন করে একটি সাপ উদ্ধার কররা কথা জানান। গৌলা ফরেস্ট রেঞ্জের টিমকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখা যায় সাপটিকে একটি প্লাস্টিক প্যাকেটে রাখা হয়েছে।

এরপর তাঁকে বের করতেই চমকে যান অফিসারেরা। তাঁরা জানান এটি বিরলতম রেড কোরা কুকরি। সেটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ বিপুল মৌর্য্য জানিয়েছেন এটি একটি বিরল প্রজাতির সাপ। এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’বার দেখা গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডে ২০১৫ তে সুরাই ফরেস্ট রেঞ্জে তেরাই ইস্ট ডিভশনে এটি দেখা গিয়েছিল। এর আগে ২০১৪ তে এটিকে দেখা যায়, তবে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সেই সাপটিকে।

১৯৭২-এর বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণের শিডিউল ৪-এর তালিকায় রয়েছে এটি। এটি বিষাক্ত নয়। মূলত পতঙ্গ, লার্ভা খেয়েই বেঁচে থাকে এটি। সাধারণর এটি লাল বা উজ্জ্বল কমলা রঙের হয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।