নয়াদিল্লি: মঙ্গলের বৈঠকে কি সরকার প্রবল চাপ অনুভব করছে? এমনই প্রশ্ন ঘুরছে কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক মহলে। তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে লক্ষ লক্ষ কৃষকদের অবস্থান ঘেরাও চলছেই।

এদিকে সরকারের সঙ্গে বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনগুলির ষষ্ঠ দফার বৈঠকের আগেই আইনটি নিয়ে মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। আইনটি কৃষকদের জন্য বিশেষ উপযোগী বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘কোই মাই কা লাল’ কৃষকদের জমি কেড়ে নিতে পারবে না।

তিনটি কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাজনাথ সিং। যদিও বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কৃষি আইন সর্বনাশ ডেকে আনছে।

আইন বাতিলের দাবিতে অনড় সারা ভারত কৃষকসভা, ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। অভিযোগ, কৃষি আইন আদতে কৃষকদের সর্বনাশ করতে চলেছে। কৃষিক্ষেত্র কে বেসরকারি সংস্থার প্রভুত্ব বাড়বে। প্রতিবাদে একমাস ধরে দিল্লির কাছে অবরোধ ও অবস্থান বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড থেকে আসা কৃষকরা। বিক্ষোভ ছড়িয়েছে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে।

বিক্ষোভের রেশ ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। ঘরে বাইরে চাপে পড়েছে এনডিএ সরকার। শরিক দলগুলি পরপর জোট ছাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের সঙ্গে পাঁচ বার আলোচনা হয় বিক্ষোভকারী কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের। প্রতিটি আলোচনা নিস্ফলা হয়।

কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে লেখা হয়, আলোচনা তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার হবে প্রথম দাবি। আলোচনায় থাকবে বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহার সহ বিভিন্ন বিষয়। কৃষি মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বিবেক আগরওয়াল বিক্ষোভকারী কৃষকদের কাছে বৈঠকের জন্য প্রস্তাব পাঠান। তারই প্রেক্ষিতে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনগুলি।

যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগ, কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনরত সংগঠনগুলির দাবি, এই আইন আখেরে কৃষকদের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে। আইন বাতিল করতেই হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার জানান, কৃষকদের জমি জোর করে অধিগ্রহণ করা হবে না। কিষাণ নিধি প্রকল্পের আওতায় ৯ কোটি কৃষকদের একাউন্টে ১৮ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।