বারানসি: বাবা বিশ্বনাথের পীঠস্থান কাশী-বারানসি বিখ্যাত আধ্যাত্বিক এবং ঐতিহ্যের জন্য। পাশাপাশি ওই অঞ্চল খ্যাত সেখানকার কারিগর ও শিল্পীদের জন্য। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এই পর্যটন কেন্দ্রে এলে কাপড় পোশাকে তাদের হাতের কাজ দেখে বিস্মিত হন। সেখানকার বেনারসি সিল্ক অন্যান্য জামাকাপড় বহু মানুষকে আকৃষ্ট করে। বহু বিখ্যাত ড্রেস ডিজাইনারদের প্রথম পছন্দ হল এখানকার বেনারসি সিল্ক ।
‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং ‘ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট ওয়ান প্রডাক্ট’ প্রচারকে বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগী হয়েছেন এখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি স্থানীয় মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, এখানকার মানুষদের এইসব জিনিস কিনতে এবং বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের লোকেদের উৎসবের সময় তা উপহার দিতে। যোগী আদিত্যনাথের এমন পরামর্শ কারীগরদের শুধু সুবিধা করে দেবে না পাশাপাশি উৎসাহিত করবে নতুন কারিগরদের।
এবছর ক্রিসমাসে বিদেশ থেকে আসা বহু মানুষ এখানকার দেশি পণ্য কিনেছেন। গত ১৫ বছর ধরে রোম, গ্রিস এবং আমেরিকার প্রিস্টরা ক্রিসমাসের সময় যে গাউন পরিধান করেন তা বেনারস থেকে তৈরি।বেনারসের আদমপুর এলাকায় স্থানীয় শিল্পীরা প্রিস্টদের জন্য বিশেষ গাউন তৈরি করেন। এই গাউন জারদৌসি, ব্রোকেডস, লাম্বডা উপাদান দিয়ে তৈরি এবং সিল্কের দিয়ে তৈরি হেডগিয়ার।
২০০৫ সালে এখানকার তাঁতি সৈয়দ হুসেন গ্রিস এবং রোমে গিয়েছিলেন এখানকার কাপড়ের প্রদর্শনী করতে। সেইসময় তিনি কিছু অভিনব নকশা তুলে ধরেছিলেন সেখানকার মানুষদের কাছে। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে কিছু পরামর্শ নিয়ে পুরনো পোশাকে কিছু পরিবর্তন আনেন। পেয়ে যান সেখান থেকে বেশ কিছু অর্ডার। এভাবে তাদের মতো করে নতুন ধরনের পোশাক তৈরি করতে থাকেন।তার পর থেকে ওই সব জায়গার পাদ্রীরা শুধুমাত্র কাশীর জারদৌসির তৈরি পোশাক পরিধান করেন।
গাউন এবং হেডগিয়ার বেনারসের কারিগরদের হাতে তৈরি। ক্রিসমাসের বছরখানেক আগে থেকেই বিদেশ থেকে পোষাক তৈরীর বরাত আসে। তারপর সেই মতো নকশা করা পোশাক পাড়ি দেয় রোম গ্রিস আমেরিকায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.