শ্রীনগর: এবার জম্মু কাশ্মীরেও বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনা-বেচার অভিযোগ তুললেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ওমরের অভিযোগ, ‘‘কাশ্মীরে নিজেদের সহযোগী দল আপনি পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে জেলা পরিষদের ভোটের পরই ঘোড়া কেনা-বেচা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।’’

শনিবারই জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য উপত্যকার বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জম্মু কাশ্মীরের নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শনিবার রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসকে নাম না করে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মোদী এদিন বলেন, ‘‘অনেকে দিল্লিতে বসে আমাকে গণতন্ত্রের পাঠ দিচ্ছেন। নিয়ম করে আমার সমালোচনা করে চলেছেন। পুদুচেরির শাসনভার একটি দলের হাতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিলেও এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তারা সেখানে নির্বাচন করতে রাজি হচ্ছে না। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের এক বছরের মধ্যেই জেলাস্তরে নির্বাচন হয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় কারা গণতন্ত্রে ভরসা করে।’’

ভূস্বর্গে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে মোদীর এই বক্তব্যের দিনই তাঁকে তুলোধনা করে ময়দানে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা। ফারুক-পুত্রের সাফ অভিযোগ, ‘‘কাশ্মীরে নিজেদের সহযোগী দল আপনি পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে জেলা পরিষদের ভোটের পরই ঘোড়া কেনা-বেচা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।’’

কেন্দ্রীয় সরকারে থাকার সুবাদে বিজেপি নিজেদের প্রভাব খাটাচ্ছে বলে অভিযোগ ওমরের। বিজেপি ভূস্বর্গে বিভিন্ন দল ভাঙানোর কাজ করছে বলেও দাবি ওমর আবদুল্লার। ইতিমধ্যেই তাঁরই দলের এক নেতা বিজেপির বি-টিম বলে পরিচিত আপনি পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের তাঁদের দিকে টানার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওমর।

উল্লেখ্য, জম্মু কাশ্মীরে সদ্য শেষ হওয়া জেলা পরিষদের নির্বাচনে ভালো ফল করেছে বিজেপি। এই মুহূর্তে উপত্যকায় সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের তকমা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের দখলে। যদিও সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লার নেতৃত্বাধীন গুপকার জোট।

২৮০টি আসনের মধ্যে ১১২টি আসন পেয়েছে গুপকার জোট। দল হিসেবে বিজেপি বেশি আসন পেলেও গুপকার জোটের সার্বিক ফলের নিরিখে পিছিয়ে গেরুয়া-শিবির। সেই কারণেই নির্বাচনের পর-পরই বিজেপি ভূস্বর্গে ঘোড়া কেনা-বেচা শুরু করে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওমর আবদুল্লা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।