তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়াঃ রাজ্যে বিধানসভা ভোট ঘোষণার আগেই বাঁকুড়া জেলা পুলিশে ব্যাপক রদবদল। জেলা পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, দু’টি মহিলা থানা সহ সাতটি থানা, চারটি পুলিশ ফাঁড়ি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ আধিকারিক পদে রদবদল হয়েছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর জারি হওয়া ওই বদলির নির্দেশিকা অনুযায়ী সোনামুখী থানার ওসি চয়ন কুমার ঘোষ ইন্দপুর থানার ওসি-র দায়িত্ব পাচ্ছেন। সোনামুখীর দায়িত্ব পাচ্ছেন ওসি এস.ও.জি প্রসেনিজিৎ বিশ্বাস। হীড়বাঁধ থানার ওসি শুভম্ রায়চৌধুরী বিষ্ণুপুর থানার রাধানগর ফাঁড়ি ইনচার্জের দায়িত্ব পাচ্ছেন।
হীড়বাঁধে ওসি পদে আসছেন ঐ ওন্দার পুনিশোল ফাঁড়ির ইচার্যের দায়িত্বে থাকা সৌমেন ভট্টাচার্য। ইন্দপুর থানার ওসি অমিত কুমার সিংহমহাপাত্র ওসি, এস.ও.জি সেলের দায়িত্ব পাচ্ছেন। বেলিয়াতোড় থানার ওসি রাজীব কুমার রাণা রাইপুর থানার বক্সী ফাঁড়ির ইনচার্জ পদে নিযুক্ত হচ্ছেন।
আর ঐ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহিদ আনসারিকে বড়জোড়া থানায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বেলিয়াতোড় থানার ওসি পদে আসছেন বিষ্ণুপুরের রাধানগর ফাঁড়ির ইনচার্জ বিন্দেশ্বর গরাই। পাত্রসায়র থানার ওসি প্রসেনজিৎ দাস তালডাংরার আমডাংরা ফাঁড়ির ইনচার্জ পদে যোগ দিচ্ছেন।
অন্যদিকে ঐ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ সইফুল পাত্রসায়র থানার ওসি পদে যোগ দিচ্ছেন। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলার দু’টি মহিলা থানার ওসি পদেও বদল হচ্ছে। বাঁকুড়া সদর মহিলা থানার ওসি বর্ণালী সরকার ওসি ডি.এম.পি.বি পদে যাচ্ছেন। আর ঐ মহিলা থানার ওসির দায়িত্বে আসছেন ওসি ডি.এম.পি.বি পদে থাকা রমারাণী হাজরা।
এছাড়াও খাতড়া মহিলা থানার ওসি শিপ্রা ঘোষ বিষ্ণুপুর থানায় বদলি করা হয়েছে। খাতড়া মহিলা থানার ওসি পদে আসছেন বিষ্ণুপুর থানার মহিলা সাব ইন্সপেক্টর হীরা মণ্ডল। সামনেই বিধানসভা ভোট। আর এই ভোটের আগেই হঠাত জেলা পুলিশ প্রশাসনে হঠাত এহেন রদবদলে উঠতে শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এই রদবদলের বিষয়টি ‘রুটিন মাফিক’ বলেই জেলা পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলায় সুষ্ঠ এবং অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের। আর এই লক্ষ্যে পুলিশ-প্রশাসনের যে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমনকি গত নির্বাচনে কারও বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস কোনও পদক্ষেপ করে থাকলে, সে ক্ষেত্রেও একই রকম ব্যবস্থা নিতে হবে।
গত কয়েকদিন আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতরে কমিশনের সেই চিঠি যায়। বলা প্রয়োজন, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরি এবং অসমেও নির্বাচন রয়েছে। ওই সব রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের কাছেও এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে।
তবে বাংলায় বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২১ সালের ৩০ মে। তার আগেই ভোটপক্রিয়া শেষ করতে হবে। হাতে বেশি সময়ও নেই। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ভোট প্রক্রিয়ার কাজ। চলছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজও। আগামী ১৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।
যদিও ইতিমধ্যে বাংলায় ঘুরে গিয়েছেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিনি কলকাতায় পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন। তবে ভোটের আগে যে চিঠি পৌঁছেছে তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যে সব অফিসার নিজের জেলায় দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন, তাঁদের অন্যত্র বদলি করতে হবে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে। এ ছাড়া যে সব অফিসার নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, সে ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।
জানা গিয়েছে, গত নির্বাচনে যে সব অফিসারের বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর পদক্ষেপ করেছিল, তাঁদের ভোটপ্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা চলবে না। অথবা একই পদে কেউ ৩ বছর কাজ করলে, তাঁদেরকেও অন্যত্র বদলি করতে হবে। ফলে আগামিদিনে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনে আরও বদলি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.