ঢাকা: অসাম্প্রদায়িক চেতনা কে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম, জাতীয় সঙ্গীত রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মরমি সাধক কবি লালন ফকিরের উপর চর্চায় বিশেষ জোর দিচ্ছে। পাকিস্তান থেকে ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পঞ্চাশ বছরে পৌঁছে এই উদ্যোগ।
ঢাকায় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব মহ. আব্দুল মান্নান ইলয়াস বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিজেদের শিল্প-সংস্কৃতিকে বিশ্বে তুলে ধরা এবং নিজেদের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করার প্রয়োজনে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
লালন শাহ বা লালন ফকির, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালি মনন চেতনায় ছড়িয়ে রয়েছেন। ধর্মীয় বিভেদের বিরুদ্ধে তাঁদের দর্শন কে সম্বল করেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তাই নেওয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ।
কুষ্টিয়ার শিলাইদহ সহ বাংলাদেশে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোয় রবীন্দ্র স্মৃতি ও রবীন্দ্রচর্চা কেন্দ্র গড়ে তুলতে বড়সড় উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সংস্কৃতি মন্ত্রক সূত্রে খবর, কবিগুরুর জীবন ও সাহিত্যকর্ম সংরক্ষণে রবীন্দ্র যাদুঘর স্থাপনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্র গবেষণায় দেশি ও বিদেশিদের উৎসাহ দিতে বিশ্বকবির নামে পুরস্কার চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে।
নজরুল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সব ধরনের সাহিত্যকর্মের চর্চা ও প্রসারের প্রস্তাবও করা হয়। বছরে একবার নজরুল সঙ্গীত সম্মেলনের আয়োজন করারও চিন্তা করছে সরকার। জীবনের শেষ সময়টি বাংলাদেশেই ছিলেন কবি। ঢাকায় তাঁর প্রয়াণ হয়।
মরমী সাধক কবি লালন শাহের কুষ্টিয়ার লালন একাডেমি ঘিরে বিভেদ বিরোধী বার্তা ছড়িয়ে দিতে আরও উদ্যোগী বাংলাদেশ সরকার। এছাড়াও বাঙালি মনন চেতনার অন্যতম ব্যক্তিত্ব
বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য সৃষ্টি, দর্শন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রধান কয়েকটি ভাষায় প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা ভাবছে সরকার।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.