ফিরে দেখা ২০২০: মারাদোনা থেকে রোসি, সাবেয়া থেকে বৌবা দিওপ, বছর জুড়ে একের পর এক নক্ষত্রপতন
অভিশপ্ত ২০২০! দুঃস্বপ্নের কুড়ি বিশের এই বছর ফুটবল দুনিয়ায় বিশাল ক্ষতি। দুই কিংবদন্তি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় ও চুনী গোস্বামীকে হারিয়ে ভারতীয় ফুটবল এবছর পিতৃহারা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও তারকা খসে পড়ার সংখ্যা নেহাত কম নয়। ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো মারাদোনা থেকে পাওলো রোসি, বছর জুড়ে একের পর এক নক্ষত্রপতন। একনজরে ২০২০ তে ফুটবল দুনিয়া থেকে কাদের হারালাম।

দিয়েগো মারাদোনা
৬০ তম জন্মদিন পার করেই ঈশ্বরের আপন দেশে ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো মারাদোনা। ৩০ অক্টোবর ৬০ পূর্ণ করার পর নভেম্বরের শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি। মস্তিষ্কে রক্তজমাট বাঁধার কারণে পরে অস্ত্রোপচার। সফল অস্ত্রোপচারের পর ডাক্তাররা মারাদোনাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে রিহ্যাবে ছিলেন। এরপর ২৫ নভেম্বর অঘটনের রাত। হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত দিয়েগো মারাদোনা। চিকিৎসকদের চেষ্টার সুযোগটুকু না দিয়েই না ফেরার দেশে পারি ফুটবলঈশ্বরের। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়কের এমন প্রয়াণ আজও মেনে নিয়ে পারেননি অনেক ভক্ত।

আলেসান্দ্রো সাবেয়া
বছরভর ফুটবল বিশ্বে শুধুই যেন চলে যাওয়া। যেন নিরুদ্দেশ হওয়ার মিছিল! মারাদোনার প্রয়াণের দু'সপ্তাহের মধ্য়ে চিরঘুমে আরেক আর্জেন্তাইন। কোচ হিসেবে মেসির আর্জেন্তিনাকে ২০১০ বিশ্বকাপে ফাইনালে তুলেছিলেন, সেই আলেসান্দ্রো সাবেয়া এই ২০২০তে হারাতে হয়েছে। ৬৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হন।

পাওলো রোসি
সাবেইয়ার প্রয়াণের রেশ কাটতে না কাটতেই ফুটবল ফ্যানেদের ফের খারাপ খবর শুনতে হয়। ৯ ডিসেম্বর ৬৪ বছর বয়সে, না ফেরার দেশে চলে যান কিংবদন্তি পাওলো রোসি। ১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপে ইটালিকে প্রায় একাই চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন রোসি। ৬টি গোল করে সে বার গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ইটালির ৩-২ ব্যবধানে চিরস্মরণীয় জয়ে রোসিই তিনটি গোল করেছিলেন। সেই রোসিকে ২০২০ সালে হারাতে হল। সত্যিই ডিসেম্বর বছর শেষেও ফ্যানেদের শুধুই কাঁদিয়ে গেল ২০২০!

বৌবা দিওপ
বয়য় মাত্র ৪২! ফুটবল ছাড়ার পর এই বষয়ে যখন নতুন করে বল পায়ে নেমে কোচিং করানোর স্বপ্ন দেখার কথা, যখন নিজের শেখাটুকু পরের প্রজন্মের মধ্য়ে উজাড় করে দেওয়া কথা সেই সময়েই চিরঘুমে সেনেগালের কিংবদন্তি ফুটবলার বৌবা দিওপ। চলতি বছরের নভেম্বরে তাঁকে হারাল ফুটবল দুনিয়া। ২০০২ বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন্স ফ্রান্সকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছিল সেনেগাল। সেই ম্যাচে সেনেগালকে জয় এনে দিয়েছিলেন বৌবা। শুধু তাই নয়, সেবার উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ৩-৩ অমীমাংসিত ম্যাচেও দিওপের পা থেকে ২টি গোল আসে।