মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপে খুশি! বিশ্বভারতীর জমি দখল বিতর্কে মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন
শান্তিনিকেতনে (shantiniketan) তাঁর বাড়ি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপে খুশি অমর্ত্য সেন (amartya sen)। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে এমনটাই মন্তব্য করেছেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ। বিষয়টি নিয়ে তিনি তাঁর আইনজীবীকে বলেছেন। তবে সেব্যাপারে চিঠি পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ, অমর্ত্য সেনের বাড়ি সংলগ্ন জমির অংশ বিশ্বভারতীর
শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচী সংলগ্ন জমির একাংশ বিশ্বভারতীর। এমনটাই অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। যার জেরেই তাঁর সম্পর্কে বিতর্কিত অভিযোগ তোলা হয়েছে।

পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
দিন দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী অমর্ত্য সেনকে চিঠি লিখে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। তিনি চিঠিতে বলেছেন, প্রতীচীর জমে নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে, সংবাদ মাধ্যম থেকে তা জনতে পেরে তিনি বিস্মিত ও আহত। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, বিশ্বভারতীর নব্য হানাদাররা আপনার পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে বলেও মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আদর্শগতভাবে অমর্ত্য সেন বিজেপির বিরুদ্ধে বলে তাঁর বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই বললে, বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৯ ডিসেম্ববর বোলপুরে তিনি এর প্রতিবাদ করবেন বলেও জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপে খুশি
নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপে তিনি খুশি। তিনি এখনও বিশ্বভারতীর তরফে কোনও চিঠি পাননি। চিঠি পেলে জমি মাপ সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে তিনি বলতে পারবেন। কোন জমি এতদিন পরে কীভাবে তা বলা হচ্ছে চিঠি পেলেই তা বোঝা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, আইনজীবীকে বিষয়টি বলেছেন তিনি। অমর্ত্য সেন বলেছেন, ১৯৪০ সালে বাড়িটি তৈরি হয়েছে। তার ৮০ বছর পরে কীভাবে অভিযোগ, তা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন তিনি। বিশ্বভারতী হঠাৎ এভাবে কেন মিথ্যা বলা শুরু করল সেই প্রশ্ন করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, তাঁর বাবা লিজ জমির ওপরে বাড়ি তৈরি করেছিলেন। তারপর আশপাশে জমি কিনেছিলেন তাঁর বাবা। অমর্ত্য সেন বলেছেন, আগে বিষয়টি নিয়ে খোলসা করুক বিশ্বভারতী।

উপাচার্যকে নিশানা
অমর্ত্য সেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের ওপরে প্রভাব বাড়াতে চাইছে। বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম করে, তাঁর বিরুদ্ধে কাজ করতে না পারার অভিযোগ করেছেন তিনি। উপাচার্য অফিস থেকে বেনামে বলছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অমর্ত্য সেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, শান্তিনিকেতনেই তাঁর জন্ম। আর পড়াশোনা শান্তিনিকেতন ও ঢাকায়। চিন্তাভাবনায় রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল। ফলে তিনি কোনও এক সম্প্রদায়কে বেছে নিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন অমর্ত্য সেন।