লজ্জা লাগছে ২১ বছর তৃণমূল করেছি, সংবর্ধনা সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু
সিপিএম-এর ছেঁড়া চটি পায়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই ভাষাতেই প্রথমবার বিজেপির হেস্টিংস-এর পার্টি অফিসে দেওয়া ভাষণে মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাকে মোদীজির (narendra modi) হাতে তুলে দিতে হবে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রশংসা! বাংলা কংগ্রেসের মতোই বিলুপ্ত হবে তৃণমূল, ভবিষ্যদ্বাণী মুকুলের

দলের অনুগত সৈনিক
শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য নেতারা ১৯ ডিসেম্বর দলে যোগ দেওয়ার পরে কলকাতায় প্রথম সংবর্ধনা সভা বিজেপির। সেই সভায় অন্যরা হাজির হয়ে গেলেও, অনেকটাই দেরিতে এসে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথম দিনেই তাঁর আসতে দেরি হওয়া নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল। তবে নিজের ভাষণের শুরুতেই তা খণ্ডন করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী নিজেই। বলেন সকাল আটটা থেকে কাজ শুরু করেন। কিন্তু এদিন অনেকগুলি কাজ আগে থেকেই ছিল। তাই তিনি কৈলাশ বৈজয়বর্গীয়ের থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সংবর্ধনা সভায় তাঁর ঢুকতে দেরি হবে।

অমিত শাহ ও বিজেপির প্রতি কৃতজ্ঞ
১৯ ডিসেম্বর তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অমিত শাহের সভায়। শুভেন্দু অধিকারী এদিন সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, বিপ্লবের তীর্থস্থান, বর্ণপরিচয়ের উৎপত্তিস্থলে এসে অমিত শাহ যে তাঁকে গ্রহণ করেছেন, তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি পরেই পূর্বস্থলীতে সভায় তাঁকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি এদিন বলেন, বিজেপি শুরু থেকেই তাঁকে সুযোগ দিচ্ছে কিংবা সুযোগ দিতে শুরু করেছে বলাই যায়।

লক্ষ্য একটাই
শুভেন্দু অধিকারীর কথা এদিন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথা উঠে আসে। তিনি বলেন, শ্যামাপ্রসাদের জন্যই আজ বাংলার এই অংশ ভারতের সঙ্গে রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা যে সোনার বাংলার স্লোগান দিয়েছেন, তার লক্ষ্যেই সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, লক্ষ্য একটাই, তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং বিজেপিকে জয়যুক্ত করা। কেননা রাজ্যে বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রধান বিরোধী দলে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলকে কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করার পাশাপাশি বলেন, সেখানে কোনও শৃঙ্খলা নেই, সেখানে কোনও রেজুলেশন লেখা হয় না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপির অভ্যন্তরের শৃঙ্খলার প্রশংসা করেছেন কাঁথির ভূমিপুত্র।

লজ্জা লাগছে ২১ বছর তৃণমূল করেছি
এদিন তিনি বলেন, লজ্জা লাগছে ২১ বছর তৃণমূল করেছি, সেই জন্য তিনি লজ্জিত। সিপিএম ৩৪ বছর ধরে রাজ্যকে দলদাসে পরিণত করেছিল। সিপিএম-এর ছেড়ে যাওয়া ছেড়া চটি পায়ে গলিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি এদিন বলেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাকে মোদীজির হাতে তুলে দিতে হবে। কেননা বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে কেন্দ্র ও রাজ্যে এক সরকার জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।