ওয়াশিংটন : কৃষক বিক্ষোভ ক্রমশ বড় আকার নিচ্ছে। কি পরিস্থিতি, তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই অবস্থায় মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও চিঠি দিলেন সাত মার্কিন আইনপ্রণেতা। তাঁদের দাবি গোটা বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা চলুক ভারতের সঙ্গে। কৃষক বিক্ষোভ কেন হচ্ছে, কেন তার সমাধান বেরোচ্ছে না, সেসব বিষয় নিয়ে মাইক পম্পেও যেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে আলোচনা করেন, এমনই দাবি ওই সাত মার্কিন আইন প্রণেতার।

যে আইনপ্রণেতারা মাইক পম্পেওকে চিঠি লিখেছেন তাঁরা হলেন ডেমোক্র্যাট ডোনাল্ড নোরক্রস (নিউ জার্সি), ব্রেন্ডেন এফ বোয়েল ( পেনসিলভেনিয়া), প্রমীলা জয়পাল (ওয়াশিংটন), ডেব্বি ডিনগেল (মিশিগান), মেরি গে স্ক্যানলন (পেনসিলভেনিয়া), ডেভিড ট্রন (মেরিল্যান্ড), রিপাবলিকান ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক (পেনসিলভেনিয়া)।

২৩শে ডিসেম্বর লেখা এক চিঠিতে এই সাত মার্কিন আইন প্রণেতা জানান ভারত মূলত রাজনৈতিক বিক্ষোভের সঙ্গে পরিচিত। সেই ছবি চেনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও। কিন্তু এই বিক্ষোভ একদমই আলাদা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ, যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে আমেরিকা। ভারত চাইলে কৃষক বিক্ষোভে হস্তক্ষেপ করে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে।

নিজেদের অর্থনৈতিক সুরক্ষার দাবি জানিয়ে ভারতের কৃষকরা বিক্ষোভ করছেন, তা বুঝতে পারছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলে দাবি ওই আইন প্রণেতাদের। এই বিষয়ে যেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে কথা বলেন। এমনই দাবি তুলেছেন ৭ মার্কিন আইন প্রণেতারা। তবে এর আগেও বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা দেয় কেন্দ্রের মোদী সরকারকে।

যদিও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি মোদী সরকার। এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে ব্যাখ্যা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এর আগে, কনাডা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভরত লক্ষ লক্ষ কৃষকদের প্রতি সমর্থন আসতে শুরু করে। সর্বপ্রথম এই বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডায় বসবাসকারীদের বড় অংশ ভারতের পাঞ্জাব থেকে এসেছেন। তাই কানাডার রাস্তায় রাস্তায় ভারতের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে জমায়েত দেখা যায়।

কানাডা সরকার কেন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মুখ খুলছে এই প্রশ্ন তোলে ভারত সরকার। এর পরেই বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও ব্যাপকভাবে কৃষক বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানাতে থাকেন।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।